সাকার রায়ের কপি ফাঁস : অভিযোগ শুনানি ২০ সেপ্টেম্বর
ঢাকা জার্নাল: মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ের কপি ফাঁস হয়। এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িত তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার মামলাটির অভিযোগ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাদ কাদের চৌধুরীর অসুস্থতার অজুহাতে আইনজীবী আদালতে সময় আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম সামছুল আলম পরবর্তী এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাদ কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম (কারাগারে) ও তার জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান (পলাতক), ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান (কারাগারে), আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন (কারাগারে), পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী (কারাগারে)।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ঘোষণার পূর্বেই রায়ের কপি তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সামনে রায়ের স্পাইরাল বাইন্ডিং কপি মিডিয়াতে প্রদর্শন করেন, প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে যে, রায়ের কপি ইন্টারনেটের মাধ্যমে রায় ঘোষণার পূর্বেই তারা পেয়েছেন। এ ছাড়া ওই কপি নিয়েই তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করেন।
চার্জশিটে আরো বলা হয়, মিডিয়ায় রায় প্রকাশ হলে পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী মেহেদী হাসানের চেম্বারে যান এবং রায় কিভাবে ফাঁস হলো জানতে চান। মেহেদী হাসান তাকে জানান, রায়ের কপি তার কাছ থেকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার নিয়ে গেছে। তারাই অনলাইনে এ রায় ফাঁস করেন। নয়ন আলীকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেহেদী।
নয়ন আলীর জবানবন্দির ভিত্তিতেই ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে মর্মে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট অভিযুক্ত ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান ।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন।
এ ছাড়া ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৭, ২০১৫।