Lead

শাপলা চত্তরে শান্তির সুবাতাস

Motijhil 5ঢাকা জার্নাল : লেনদেন তখনও শুরু হয়নি। কখন শুরু হবে তাও বোঝা যাচ্ছে না। সবেমাত্র লোকজন এসে যোগ দিচ্ছেন চা চক্রের আয়োজনে।


যেন কুশল বিনিময় আর ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতেই ছুটে আসা মতিঝিলে। বুকে বুক মিলিয়ে দিনের শুরু হয়েছে এভাবেই। বোঝার উপায় নেই ব্যস্ততম মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া এটি।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের চিত্র ছিল এ রকম।

সকাল পৌনে ১০টা। তখনও আগ্রণী ব্যাংকের সামনে পুরোটাই ফাঁকা। একই অবস্থা পুরো এলাকাজুড়েই।

সকাল সাড়ে ৯টায় জনতা ব্যাংকের সামনে একটি সিগারেটে আর একটি চায়ের দোকান বসেছে। চায়ের কাপ হাতে দাঁড়িয়ে কয়েকজন। একই সময়ে পূবালী ব্যাংকের সামনে একটি চায়ের দোকানের পরিবেশও একই।

এ সময় শাপলা চত্বরে দু’চারটে গাড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রীর প্রত্যাশায়। আরও দু’একটি গাড়ি চলেছে থেমে থেমে।

সোনালী ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে কর্তাদের কয়েকটি গাড়িও। অফিসের ভেতরের চেয়ে বাইরেই লোকজন বেশি। চায়ের দোকানে পেয়ালা হাতে গরমের দিনেও যেন গায়ে রোদ মাখছেন তারা। ফুরফুরে বাতাসে উড়ছে গায়ের পঞ্জাবি। 

সকাল ১০টা পর্যন্ত মিরপুরসহ বিভিন্ন জায়গার স্টাফ বাসগুলো ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামিয়ে দিতে দেখা গেছে। অনেকে বাস থেকে নেমেই যোগ দিচ্ছেন চায়ের মজমায়।

পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিজানুর রহমান ব্যাংকের দুই কেয়ারটেকার গোলাম কুদ্দুস এবং জহুরুল ইসলামকে নিয়ে চা চক্রে মেতেছেন। 
চা দোকানি রফিকের খোঁজ-খবর নিয়ে তিন কাপ চায়ের অর্ডার দেন তিনি। রফিকও খুশিতে ডগমগ। চা সিগারেট ছাড়া অন্য কিছু নেই তার দোকানে। তবুও খুশি সে, কারণ বিক্রি ভালো। 

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ৩১, ২০১৪

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.