Leadসংবাদ শিরোনাম

রায় কার্যকর হবেই: প্রধানমন্ত্রী

Pm_5
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করার জন্য আরেকবার সুযোগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুযোগ পেলে বিরোধীরা যতোই চেষ্টা করুক, রায় কার্যকর করা হবেই।

শনিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারতের বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সঞ্চালন উপকেন্দ্র উদ্বোধনের পরে স্থানীয় এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামীবার নির্বাচনে বিজয়ী হলে সব যুদ্ধারাধীর বিচার করব। বিরোধী দলীয় নেত্রী যতই তাদের বাঁচাতে চেষ্টা করেন না কেন, যে কোন মূল্যে এ বিচার বাস্তবায়ন করা হবে।”

“তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে চেয়েছিলেন, পারেননি। আমরা এর বিচার করেছি। একই ভাবে যুদ্ধাপরাধীদেরও বাঁচাতে পারবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের যাদের বিচারের রায় বেরিয়েছে, তাদের রায় বাংলার মাটিতে কার্যকর হবেই।”

জনসভায় ২০০৮ সালের মতো কুষ্টিয়ার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এ সময় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে উপস্থিত হাজার হাজার জনতা দুই হাত তুলে সাড়া দেন।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “উনি তো মিথ্যে বলায় ওস্তাদ। উনি বলেছেন হেফাজতের সমাবেশে নাকি হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যখন মৃতদের তালিকা চাইলাম তখন তিনি দিতে পারলেন না।”

“বিএনপি আমলে মসজিদে কোরআন পড়া অবস্থায় মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে। কৃষকদের সার না দিয়ে তাদের উপরে গুলি চালানো হয়েছে। তারা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষ কোনো বাবা-ভাইকে রেহাই দেয়নি। তারা পাকিস্তানি বাহিনীর মতো মা-বোনদের নির্যাতন করেছে।”

বিএনপি-জামায়াতের কথায় ‘বিভ্রান্ত’ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তারা শুধু জানে মানুষ হত্যা করতে। বিরোধীদলীয় নেতা এতিমের টাকাও লুটে খেয়েছে।”

এ সময় খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে, কারণ আওয়ামী লীগ থাকলে মানুষ শান্তিতে থাকে। মানুষ খেয়েপড়ে বাঁচতে পারে।”

“আর বিএনপি এলে দেশের মানুষ অশান্তিতে থাকে, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিএনপি পুনরায় নির্বাচিত হলে দেশে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটবে।”

জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহাবুব-উল-আলম হানিফ।

এর আগে জনসভাস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ (৩৭ ইউনিট) প্রকল্প, কৃষ্টিয়া জেলা সার্ভার স্টেশন ভবন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ভেড়ামারা থানা ভবন, কুষ্টিয়া কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার উদ্বোধন করেন।

কুমারখালী উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, খোকসা উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনও উদ্বোধন করেন তিনি।

এছাড়া কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প, মিরপুর থানা ভবন, কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কুমারখালী উপজেলায় ‘সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিণাথ’ স্মৃতি জাদুঘর, কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাডেমিক ভবন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন, ভেড়ামারা উপজেলার বিজেএম কলেজের একাডেমিক ভবন, ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবন, মিরপুর উপজেলার সাগরখালী আইডিয়াল কলেজের একাডেমিক ভবন, কুমারখালী কলেজের একাডেমিক ভবন, দৌলতপুর উপজেলার নুরুজ্জামান বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজের একাডেমিক ভবন, দৌলতপুর উপজেলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন তলা একাডেমিক ভবন, কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তি ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.