শিক্ষা-সংস্কৃতি

‘যৌন নির্যাতন নয়, আমরা বিয়ে করেছি’

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ সেই কলেজের ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। গত মার্চ মাসে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছেন বলে জানান তারা।

শনিবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘আমরা দুজন গত মার্চ মাসে বিয়ে করেছি। বিষয়টি নানা কারণে প্রকাশ করতে চাইনি। কিন্তু পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে, এখন এটি জানান দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোংরা কথা বলা হচ্ছে, আমাকে দুশ্চরিত্র লোক হিসেবে স্টাবলিশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি খোলাসা হওয়া দরকার।’

তার কথায়, ‘আমি বিষয়টি পরিষ্কার করি- আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আমি মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করেছি, জোর করেছি; সেই মেয়েটি তো কোনও অভিযোগ করেনি, তার পরিবার কোনও অভিযোগ করেনি। আমি বিভিন্ন কারণে এটি পাবলিক করতে চাইনি, কিন্তু যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে নাউ শি ইজ মাই ওয়াইফ। আমার মনে হয় বিষয়টি এখন পরিষ্কার হওয়া ভালো। যেসব ভিডিও বা ছবি ছড়িয়েছে সেগুলোর কিছু এডিট করা। বিয়ে করেছি, কোনও অন্যায় করিনি। মুসলিম আইন বলেন, সকল আইন মেনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলতে পারে না, কারও কোনও অধিকার নেই। প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।’

আপনাকে নিয়ে কেনও এমন সমালোচনা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তিনবার নির্বাচন করে জিতেছি, গভর্নিং বডির সদস্য হয়েছি। অনেকে এটা মেনে নিতে পারে না।’

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি বিয়ে করেছি। বিষয়টি না জেনে আমাদের সমালোচনা করা হচ্ছে।’ তার বয়স ১৮ বছরের বেশি বলেও দাবি এই ছাত্রীর।

প্রসঙ্গত, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ কলেজ ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছেন এই অভিযোগের তদন্ত করতে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশের পর বিয়ের বিষয়টি খোলাসা করেন কলেজ ছাত্রী এবং গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ