বিষয়ী প্রেম
হারুন-উর রশিদ
কি`বা আছে আমার!
কি চাও তুমি?
তবে কেন বারে বারে ফিরে আসো?
ভঙ্গুর এক হৃদয় ছাড়া নেই যে কিছু আমার,
এই ভঙ্গুর হৃদয় তোমাতে সঁপেছি
আবার।
তোমাতে প্রেম নিবেদন করে শুনতে পেলাম, তুমি প্রেম উজাড় করে দিয়েছ মাঝিকে।
এই হৃদয়ে শুধু হাহাকার, জ্বলন্ত লাভায় পরিপূর্ণ ;
যেথায় গ্লানি -ক্লেদের নিষিদ্ধ হাওয়া বয়ে যায় সর্বক্ষণই।
এসো না আমার ভয়-নিষিদ্ধ হাওয়ার স্পর্শে তোমার হৃদয় যদি বিষিয়ে উঠে-
গন্ধরাজ পুষ্পের ন্যায় শুভ্র-সাদা যার হৃদয়, সেথায় নিষিদ্ধ হাওয়ায় যদি বিষিয়ে উঠে-
সেই ভয়েই সারাক্ষণ’ই আমার মৃত্যু হয়।
তুমি এসো না এই নিষিদ্ধ বাতাসে।
তুমি বললে তোমার ভয় তোমাতে আকৃষ্ট হয়ে আমি কিনা উন্মাদ হয়ে যাই।
কিভাবে উন্মাদ হব!!
তুমি তো কখনো খামচে ধরোনি আমার চুল-বা আমার কপাল নখ দিয়ে চিরে দাওনি তো,
কিংবা বলোনি তো তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাবো
এই সব না হলে কি কেউ উন্মাদ হতে পারে?
বলতে পারো ভবঘুরে জীবন আমার।
এসো না ভবঘুরে জীবনে
কি চাও বলতো?
কি’বা দিতে পারে ভবঘুরে জীবন।
কল্পনার রাজ্যে তোমাকে স্বপ্নের রানী বানাতে পারে।
কিংবা হাজার বৎসর ভবঘুরে জীবনে তোমায় নিয়ে বয়ে চলতে পারে।
এই সভ্য সমাজে কি’বা মূল্য আছে!
চাকচিক্যময় জীবন ছেড়ে এসো না এই ভবঘুরে জীবনে।
এসো না তুমি
কি ভয় পাও তুমি?
তোমার প্রেম হারিয়ে যাবে।
প্রতিজ্ঞা নিয়েই কথা দিয়েছি,
আর কোন দিন’ই প্রেম নিবেদন হবে না এই ভঙ্গুর হৃদয় হতে।
তবে, তোমার কিসের ভয়?
তুমি স্বপ্নের রানী হয়ে রবে এই হৃদয়ে
তবে, ফিরে এসো।
যেদিন তোমারি মাঝির ভালবাসায় ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে তোমাকে বিদায় দিবে।
যাকে বাহুডোরে রাখতে চেয়েছিলে জীবন স্রোতে
যে কিনা তোমারি ভালোবাসা পদপৃষ্ট করে চলে যাবে
সেদিন ফিরে এসো।
সেদিন তোমার ফিরে আসাকে স্বার্থক করে বলবো-
এসো সখি কুঞ্জবনে বাঁধি ছোট্ট সুখের ঘর।।।