পার্বতীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানী
উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নে বি এম এস উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে প্রতারক প্রেমিক মেয়েটির শ্লীলতাহানী করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের ক্যানেলের বাজার নামক স্থানে বন্ধু রিপন রায়ের (২১) বাড়িতে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোনাপুকুর হাজিপাড়া গ্রামের মোকছেদুল হকের পুত্র মোঃ আতাউর রহমান (২২) গত ১৫ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে বন্ধুর বাড়িতে শয়ন কক্ষে মেয়েটিকে ডেকে আনে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সে তার প্রেমিকাকে সেই ঘরে স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় দৈহিক মিলনে আবদ্ধ হয়। সন্ধ্যার পর লম্পট প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাত্রি যাপন করে। পরের দিন সকাল থেকেই মেয়েটি বাড়ীতে শক্ত অবস্থান নিয়ে বিয়ে করার চাপ সৃষ্টি করলে সে নানা রকম টাল বাহানা শুরু করে। এ নিয়ে পাড়া প্রতিবেশীর মধ্যে কানাঘুষা সৃষ্টি হয়। এ সময় মেয়েটিকে ছেলে পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করলে মেয়েটি বিয়ে না করে বাড়ি থেকে বের হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। অবশেষে টেনে হেঁচড়ে মারপিট করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ওই দিন বিকালে মেয়ে পক্ষের লোকজন ও ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ জাবের আলীকে সাথে নিয়ে মেয়েটিসহ ছেলের বাড়িতে বিয়ে করার দাবি নিয়ে আসলে ছেলে পক্ষের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়ে লাঠিপেটা করে। দ্বিতীয়দফা মেয়েটিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গ্রাম থেকে বের করে দেয় তারা। এতে মেয়ে পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এ বিষয়ে সংশিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ রাজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মেয়ে পক্ষকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান। মেয়ের বাবা মোস্তফা কোরানী গতকাল মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে (১) আতাউর রহমান (২) মোকরেহমান (২) মোকছেদুল (৩)আলেয়া বেগম (৪) লতি বেগম (৫) জাহিদুল ইসলাম (৬) আয়ুব আলীসহ আরও অনেককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আজ বুধবার সকাল ১১টায় পার্বতীপুর মডেল থানার ওসি মাহমুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।