Leadরাজনীতি

নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু

সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করছে বিএনপি।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি উপস্থিত আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশি সাজা বাতিল, অর্থনীতির মুক্তি, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে’ এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিন সকাল থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে রাজধানীতে অবস্থান করা নেতা-কর্মীরা ব্যানারসহ বড় বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন। তাদের হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা দেখা যায়। বিভিন্ন রঙের ক্যাপ পরে তারা মহাসমাবেশে অংশ নিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের মিছিল ও স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে কাকরাইল থেকে-ফকিরাপুল পর্যন্ত এলাকা। তাদের পরচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে নয়াপল্টন।

নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বেলা পৌনে ১১টার দিকে সমাবেশ মঞ্চে শুরু হয় গান-বাজনা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে এই গান পরিবেশন করা হয়।

নয়াপল্টনের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে এবং বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাদের মুক্তি চেয়ে পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয় এসব পোস্টার ও ব্যানারে।

মহাসমাবেশের অনুমতির অপেক্ষা না করে শুক্রবার বিকেল থেকেই কর্মসূচির পূর্বঘোষিত স্থান নয়াপল্টনে সমবেত হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে বাড়ছিল তাদের উপস্থিতিও। সন্ধ্যায় খণ্ড খণ্ড মিছিল আর কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর স্লোগানে অনেকটাই সরগরম হয়ে ওঠে নয়াপল্টন। এই নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কেউ তিন থেকে চার দিন আগেই ঢাকায় চলে এসেছেন। কেউ এসেছেন পুলিশের তল্লাশিচৌকি ফাঁকি দিয়ে।

এই মহাসমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর শুক্রবার রাতেই শুরু হয় মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতি। মঞ্চ তৈরির জন্য আনা হয় ট্রাক ও বাঁশ। ভোর হতেই মঞ্চের কাজ শেষ হয়। সময় যত গড়ায় নেতা-কর্মীদের ভিড় ততই বাড়তে থাকে। আর সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে আসা নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লাগাতার সরকার ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।

অন্যদিকে মহাসমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং এর আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।