ছেড়া তরঙ্গ
ছেড়া তরঙ্গ
হারুন-উর রশিদ
কি এমন ভুলে
মুখের কথা কেড়ে নিলে
আমাকে বাকরুদ্ধ করে দিলে।
প্রতিজ্ঞা নিয়েই বলেছিলাম
মরে যাব
তুমি বললে বাঁচতে হবে তোমাকে।
প্রেম দিতে না পারি,
প্রেম তো হারাতে পারি না।
যেথায় শুধু আমারি ভালোবাসা।
বললাম আমি ভালোবাসি তোমাকে,
তুমি তোমাকে পূর্ণ করে
আমাকে অভিবাদন জানালে,
সেই অভিবাদন ছিল শূন্যতা কিংবা বিষণ্ণতায় পরিপূর্ণ,
আমি অভিবাদিত হলাম,
না পাওয়া ভালোবাসা নিয়ে,
প্রত্যাখ্যাত ভালোবাসা নিয়ে
তবুও তুমি পূর্ণ হলে।
তুমি জানলে না অভিবাদনে
কতটুকু তপ্ত দহন ছিল,
সেই তপ্ত দহন যে আমি বইতে পারছিনা।
কি এমন ক্ষতি হতো তোমার?
করুণা কিংবা ছলনার বশে
যদি একবার বলতে,
আমিও তোমাকে ভালোবাসি।
আমাকে অভিবাদন জানালে,
মুখের কথা কেঁড়ে নিলে,
বাকরুদ্ধ করে দিয়ে
শত হাজার বার মৃত্যুর স্বাদ দিলে।
বাকরুদ্ধ হয়ে কথামালাকে উড়োচিঠি করে
আকাশে ঠিকানা দিয়েছিলাম।
উড়োচিঠি আমাকে বলে,
ছোট্ট আকাশে আমি উড়বো না,
আমি প্রাপকের সুবিশাল আকাশে উড়তে চাই।
উড়োচিঠিকে বললাম,
তোমার প্রাপকের কাছে আমি যে অপরাধী।
রক্তজবার প্রস্ফুটিত স্পন্দনে সুন্দর মুখশ্রী যার,
ডালিম পুষ্পের ন্যায় ওষ্ঠ যার।
হরিণী আঁখিতে শুধুই মায়াবী সে,
এলোকেশীতে সমুদ্রসম ঢেউ যেথায়
সেথায় কিভাবে আমি বললাম ভালোবাসি?
এ মোর শত হন্তারকের অপরাধ।
এই অপরাধীকে
তোমার কাষ্ঠে শতবার ফাঁসি দাও।
বেত্রাঘাত করে ছিন্ন-ভিন্ন রক্তাক্ত হৃদয়ে
সভ্য সমাজে দেখাও,
এই সেই অপরাধী,
যে আমায় ভালোবাসতে চায়।
তোমার কাষ্ঠে শতবার ফাঁসি দাও,
নিশ্চিত মৃত্যু দাও।
শতহাজার বার মৃত্যুর স্বাদ
যে বহন করতে পারিনা।
তবুও একবার কথা বলার
অধিকার ফিরিয়ে দাও,
উড়োচিঠি তোমার আকাশে উড়তে দাও।
যে কিনা একটি বার বলতে পারে
ভালোবাসা না দিলে,
কষ্ট দাও……..।