Leadআন্তর্জাতিক

করোনার চিকিৎসায় সফল হচ্ছে সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরে আরও তিনজনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯ জন। তবে নতুন রোগীদের মধ্যে কারও অবস্থাই গুরুতর নয়। তাদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শনিবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন রোগীদের মধ্যে ৩২ বয়সী এক সিঙ্গাপুরিয়ান নাগরিক রয়েছেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ফেরত আনা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তিনি। এদিন ৩০ বছর বয়সী এক নারী ও ৪১ বছর বয়সী এক পুরুষের শরীরেও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা দু’জনেই সিঙ্গাপুরের স্থায়ী নাগরিক। তবে তাদের কারোরই সম্প্রতি চীন সফরের রেকর্ড নেই।

এদিকে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রীতিমতো অবিশ্বাস্য সাফল্য দেখাচ্ছে সিঙ্গাপুর। এখন পর্যন্ত এ রোগের সুনির্দিষ্ট প্রতিষেধক না থাকলেও দেশটিতে করোনা আক্রান্ত ৮৯ জনের মধ্যে ৪৯ জনই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। আরও ৪০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এছাড়া আইসিইউতে আছেন আরও পাঁচজন।

শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দু’জন, তাদের মধ্যে ছয় মাস বয়সী এক শিশু ও তার মা রয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী এই নারী একটি চীনা পণ্যের দোকানে কাজ করতেন।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেশটিতে সন্দেহজনক ১ হাজার ১০১ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা আরও ২ হাজার ৭৩৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া, কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন অন্তত ১ হাজার ৬৩৩ জন।

সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন পাঁচজন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো ৩৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশি ওই প্রবাসী সিঙ্গাপুরের এনসিআইডির আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এর একদিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি সেলেটার অ্যারোস্পেস হেইটসের নির্মাণাধীন স্থাপনায় কর্মরত আরও এক বাংলাদেশির শরীরে করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হয়।

পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩৭ ও ৩০ বছর বয়সী আরও দুই বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানায় সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক-পাসধারী এ দুই বাংলাদেশিও সেলেটার অ্যারোস্পেসে কর্মরত ছিলেন। সবশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ২৬ বছর বয়সী আরেক বাংলাদেশি। এর আগে সিঙ্গাপুরে যে চার বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন; তাদের সঙ্গে একই জায়গায় কাজ করতেন তিনি।

সিঙ্গাপুরে ভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশিদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ হাইকমিশন।

চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৬২ জন। এর মধ্যে শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই মারা গেছেন ২ হাজার ৪৪২ জন। আর বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৭২৪ জন।