৯২ উপজেলার ফলে বিএনপি ৩৯, আওয়ামী লীগ ২৭, জামায়াত ১১

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৪

চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে বুধবার দিনভর ৯৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। রাত ২টা পর্যন্ত ৯২টি উপজেলার বেসরকারি ফলাফল জানা গেছে। এর মধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ৩৯টি, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৩৩, জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ১১, জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী ১, জনসংহতি সমিতি সমর্থিত প্রার্থী ১, ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী ১ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।

বাকি পাঁচটি উপজেলার ফলাফল পাওয়া যায়নি।

প্রথম ধাপে ৯৭টি উপজেলা পরিষদের তিনটি পদে মোট ১ হাজার ২৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে ৪২৯ জন,  ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫০৫ জন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৩২৫ জন।

এসব উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৭ জন। এসব ভোটার প্রায় ৬ হাজার ৯০০টি ভোটকেন্দ্রের ৪৩ হাজার ২০০টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

৯৭ উপজেলার জন্য প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাড়ে ৬ হাজার আর সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা প্রায় ৪৩ হাজার নিয়োগ করে ইসি। এতে প্রায় ৮৬ হাজার পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।

নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ১০২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে রংপুরের চারটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট ১৯ তারিখ থেকে পিছিয়ে পিছিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিএনপিবিহীন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা না গেলেও, এ উপজেলা ভোট ঘিরে সারাদেশে ভোটের হাওয়া তুঙ্গে ওঠে। এ নির্বাচনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সকলেই অংশ নিচ্ছে। প্রচারণা চলাকালে সহিংসতার পরিমাণও জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় ছিল অনেক কম। ফলে দলে দলে ভোটারদের উৎসাহের মধ্য দিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.