হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১৯, আহত দুই শতাধিক
ঢাকা জার্নাল: হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১৯ জন নিহত এবং দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহতদের বেশিরভাগই হেফাজত কর্মী। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অজ্ঞাত পরিচয় একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
জামান নামে এক ব্যক্তি জানান, বায়তুল মোকাররমের মিনার গেটে গণধোলাইয়ের শিকার নাহিদকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে যান তিনি। পরে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে দুপুরে নয়াপল্টনে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশের ডিউটিরত বাস শ্রমিক সিদ্দিকুর রহমান নিহত হন। রাত ৮টায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামালউদ্দিন খান (৫৩) মারা যান। জানা যায়, তিনি আছরের নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে স্ট্রোক করেন।
রাত ১০টার পর খবর পাওয়া যায়, শাজাহানপুর আল বারাকা হাসপাতালে ছয়টি এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে দু’টি মরদেহ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আল বারাকা হাসপাতালের অপারেটর টুটুল জানান, তাদের হাসপাতালে ছয়টি মরদেহ আছে। বিকেল থেকে অনেককে আহত অবস্থায় আনার পর হাসপাতালে তারা মারা যান। কাউকে আনার পরেই মৃত ঘোষণা করা হয়। আর এদের সবাই গুলিবিদ্ধ।
আল বারাকা হাসপাতালে থাকা মুন্সীগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম ফোনে জানান, বরিশালের ইউনুছ (২৮) ও ইব্রাহিম খান (৩০), চট্টগ্রামের মাওলানা সিহাবউদ্দীন (৬০), নরসিংদীর সেলিম (২৬), জুবায়ের (২৫) এবং আরেকজন অজ্ঞাত সেখানে মারা গেছেন। এরা সবাই হেফাজতের কর্মী বলে জানান তিনি।
এদিকে মতিঝিলে মধ্যরাতে সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে আরও ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের সবাই হেফাজতকর্মী বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। এখনও তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে রোববার দুপুরে পল্টনে। পরে সেই মরদেহ মতিঝিল সমাবেশস্থলে নিয়ে যায় হেফাজতকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢামেকে কমপক্ষে ১০৫ জন এবং ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অর্ধশতাধিকসহ রাজধানীর আরও কয়েকটি চিকিৎসা কেন্দ্রে দুই শতাধিক চিকিৎসাধীন রয়েছে।