হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবন থাকছে না
ঢাকা জার্নাল: হাতিরঝিলে আর বিজিএমইএ ভবনটি থাকছে না। ভবনটি ভাঙার কাজ আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই শুরু করতে হবে মালিকদের। নিজের খরচে ভবন ভাঙার পর জলাশয়ের জায়গাটিও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
এ বিষয়ে প্রায় দুই বছর আগে দেয়া হাইকোর্টের সংক্ষিপ্ত রায়ের পর মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায় প্রকাশিত হলো।
সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছিল, রায়ের এই পূর্ণাঙ্গ কপি পাওয়ার পর নব্বই দিনের মধ্যেই ভবনটি সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করতে হবে।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালত বলেন, ভবনটি সৌন্দর্য ও মহিমান্বিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো। এই ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট করা না হলে এটা শুধু হাতিরঝিল নয়, গোটা ঢাকা শহরকে সংক্রমিত করবে।
রায়ে ভবনটি ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার জন্য সরকার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের ওপর নির্দেশ দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়, ওই জমি জনকল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। হাতিরঝিল প্রকল্প একটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। আজ সে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রায়ে আদালত বলেন, বিজিএমইএ যাদের কাছে ওই ভবনের ফ্ল্যাটের অংশ বিক্রি করেছে, তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। দাবি করার এক বছরের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলা হয় রায়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে হাতিরঝিলের বিজিএমই্এ ভবনটিকে অবৈধ ঘোষনা করে আদালত। তারপরেও এর সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে ভবনটিকে উচ্ছেদ না করার জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছিল। এই রায়ের ফলে আদালতের নির্দেশে ৯০ দিনের মধ্যে এই ভবনটিকে ভেঙে ফেলতে হবে।