স্বামী বশীভূতকরণ মন্ত্র

ডিসেম্বর ৩, ২০১৩

coupleমানুষের জীবনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হচ্ছে বিয়ে। আর বিয়ের পর সুখী দাম্পত্য জীবন কে না চায়? দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো অনেক ভুলভ্রান্তি হয়। ফলে দাম্পত্য জীবনে আসে অশান্তি। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য এই ভুলগুলোকে আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। সুখী দাম্পত্য জীবন গড়তে মেয়েদের জন্য রইলো কিছু টিপস।

* স্বভাবতই আপনার স্বামী চান যে আপনি তাকে একটু বেশি ভালবাসবেন এবং যত্ন নিবেন। চেষ্টা করুন তাকে তার প্রতিদিনের টুকিটাকি কাজগুলোতে সাহায্য করতে। অফিস যাওয়ার আগে তার কাপড় ইস্ত্রী করে রাখলেন, অফিসে যাবার ব্যাগটা গুছিয়ে দিলেন ইত্যাদি। এতে আপনি ছোট হবেন না বরং আপনি যে তাকে ভালোবাসেন এবং তার প্রতি যত্নবান, সেটা তারই বহিঃপ্রকাশ ।

* স্বামীর চাওয়া পাওয়া বুঝতে চেষ্টা করুন। দেখবেন প্রথম প্রথম যদি বুঝতে কিছুটা সমস্যা হয় তাহলেও কিছু দিন পর পুরোপুরি বুঝে যাবেন তার পছন্দ অপছন্দ। এতে করে তার সাথে সবকিছু মানিয়ে নিতে বেশ সহজ হয়ে যাবে সময়ের ব্যবধানে।

* অনেক মেয়ের মধ্যেই একটি সাধারণ প্রবণতা দেখা যায়। সেটা হলো স্বামীকে আপাদমস্তক পাল্টে ফেলা। প্রথম প্রথম এসবে সে অনেক খুশি হলেও একসময় বিরক্ত হয়ে ওঠে। ফলে হিতে বিপরীত হয় প্রায় সবারই। সুতরাং তার টুকটাক খারাপ অভ্যাস ছাড়াতে চেষ্টা করলেও পুরো নতুন করে গড়বেন এরকম ভাবনা মাথায় না রাখাই ভালো। চেষ্টা করুন টুকটাক সমস্যাগুলো মানিয়ে নিতে।

* কারো প্রশংসা করতে পারা একটি বড়ো গুণ। সবাই সেটা পারে না। ছোটখাটো কাজের জন্যও তাকে ধন্যবাদ দিন। চা বানিয়ে খাওয়ালে, লন্ড্রি থেকে কাপড় নিয়ে আসলে বা রান্নার কাজে সাহায্য করলেও তাকে ধন্যবাদ দিন। দেখবেন তার কাজ করার আগ্রহ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি তাকে খুশিও দেখাবে অনেকটা।

* ঘরের গীত বাইরে গাইবেন কেন? আপনাদের দুজনের ব্যাপার বাইরের কেউ জানবে কেন? বাইরে কারো সামনে কখনো স্বামীকে নিয়ে এমন কোন কথা বলবেন না যা শুনলে সে কষ্ট পাবে। অন্যের সামনে স্বামীকে নিয়ে আলোচনা করলেও সবসময় চেষ্টা করবেন তার ভালো দিকগুলো নিয়ে কথা বলার ।

* সুখী বৈবাহিক জীবনের সবচেয়ে বড় ভিত হলো বিশ্বাস। স্বামীকে বিশ্বাস করুন, সম্মান করুন, সহযোগিতা করুন তার কাজে, মন থেকে ভালবাসুন তাকে। দেখবেন বিনিময়ে আপনিও তার কাছ তাই পাচ্ছেন ।

* তিনি যেটা পছন্দ করেন সেটা করার চেষ্টা করুন আর যেটা তিনি অপছন্দ করেন সেটা না করার চেষ্টা করুন। তবে নেহাত তার মতের বিপরীতে যেতেই হলে যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরুন। দেখবেন তিনিও আপনার মতামতের মূল্য দিচ্ছেন আস্তে আস্তে।

* যোগাযোগ সম্পর্কের অন্যতম মাধ্যম। দুজনের বন্ধুত্ব গাঢ় করুন। একে অন্যের সুখ দু:খের গল্প ভাগাভাগি করে নেবার চেষ্টা করুন। নিজের কথাই শুধু না বলে তার কথাও শুনুন। তাকে গুরুত্ব দিন।

* উপভোগ করতে শিখুন। যে কোনো বিশেষ দিনে তাকে ছোটোখাটো উপহার দিন। আবার তিনি যদি আপনার জন্য কোন বিশেষ উপহার নিয়ে আসেন তাহলে সেটা সাদরে গ্রহণ করুন। পছন্দ না হলেও কখনো সেটা বুঝতে দেয়া মোটেও উচিত নয়। এতে সঙ্গী মনে আঘাত পেতে পারেন।

* মানুষ মাত্রই ভুল করে। তাই আপনার সঙ্গী যদি কোন ভুল করেও বসে তাহলে চিৎকার করে রাজ্য মাথায় করবেন না। প্রথমে তার ভুলটা চিহ্নিত করুন। বুঝতে চেষ্টা করুন,ব্যাপারটিতে তার সম্পৃক্ততা কতটা। তারপর সেটা নিয়ে তার সাথে আলোচনা করুন। তাকে শান্তভাবে বোঝান। রেগে কখনো কোন সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায়না। সূত্র: ইন্টারনেট।

লিখেছেন- নিশাত ইয়াসমিন

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.