স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে সরকারের ভিন্ন ব্যাখ্যা, জনমনে বিভ্রান্তি !

মে ২০, ২০১৩

Mokha (2)ঢাকা জার্নাল: আগামী এক মাস কোন দলকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবেনা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর।

১৯ মে রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় নতুন জোরারগঞ্জ থানা উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অনুমতি নিয়ে সমাবেশকে দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দেন, জনসাধারণের উপর অত্যাচার করেন, নির্যাতন করেন, গাড়ি পোড়ান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর অত্যাচার করেন, দোকান লুট করেন, তাদেরকে ওই যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমাবেশ করার অধিকার স্বীকার করার শর্তেও আগামী এক মাস পর্যন্ত কোনো সমাবেশ কোনো দলকে আমরা করতে দেব না।’

সংলাপ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সুস্পষ্ট বলেছি, সংসদের বাইরে ‍বা যেকোন স্থানে তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। তবে আমরা আমাদের নেত্রীর আহবান প্রতিধ্বনিত করে একথা বলব, আলোচনা করার সবচেয়ে ভাল স্থান ও ভাল মাধ্যম সংসদ। সংসদে এসে আলোচনা করুন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেকোন বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তৈরি আছে।’

জোরারগঞ্জ থানা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন, জেলা প্রশাসক মো.আবদুল মান্নান ও পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি:

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক মাসের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এমটাই জানানোর পরে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই কথা জানান।

তিনি জানান, ‘রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সভাসমাবেশ করবে এমন নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত রাজধানীতে কোন দলকেই সভাসমাবেশ করতে দেয়া হবে না।’

তিনি বিবিসিকে জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত না হচ্ছি যে সমাবেশের নাম করে দুর্বৃত্তরা ওই ধরণের কাজগুলো করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এই যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধের আওতায় আমরা সভাসমাবেশের অনুমতি না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। “আমরা বলেছি এটা হবে অনির্দিষ্টকালের জন্য”।

তিনি আরো জানান, রাজনৈতিক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত কিছুদিনে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা নতুন। ঢাকায় যে মাত্রায় এগুলো ঘটেছে তা আর কোথাও হয় নি। তাই ঢাকার ক্ষেত্রেই সভাসমাবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়ার পরপরই রোববার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এই ব্যাখ্যায় বলা হয়, কোনো দলের কর্মসূচিতে জানমালের ক্ষতি বা নাশকতার আশঙ্কা থাকলে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেবে না সরকার। তবে ‘সাধারণ’ সভা-সমাবেশে সরকারের আপত্তি নেই।

ব্যাখ্যায় জানানো হয়, “এটা কোনো নিষেধাজ্ঞা নয় বরং জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পূর্বসতর্কীকরণ ব্যবস্থা।”

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.