সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িতদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলে চিঠি

জুন ৫, ২০১৩

perliament-0120130604074529ঢাকা জার্নাল: ২০১১ সালে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান চেষ্টায় জাড়িত প্রবাসী ব্যবসায়ী ইশরাক আহমেদ ও মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হককে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একথা জানানো হয়।

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে ২৪তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মুজিবুল হক চুন্নু, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মঞ্জুর কাদের কোরাইশী এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে এম এ মান্নান অংশ নেন।

এছাড়া বৈঠকে নৌ-বাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল মো. ইনামুল বারী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জে. মো. মইনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী সাংবাদিকদের বলেন, “এর আগে ওই অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ইশরাক আহমেদ ও মেজর জিয়াকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে খুঁজে বের করার সুপারিশ করা হয়েছিল। ওই দুই জনকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”

কমিটির সভাপতি জানান, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকের পর জানানো হয়, অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং ইশরাক আহমেদ ‘সম্ভবত’ থাইল্যান্ডে আছেন।

২০১১ সালে তারা অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন বলে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে সেনাসদর থেকে সংবাদ সম্মেলনে তা স্বীকার করা হয়।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করা হয়েছে।

ঢাকা জার্নাল, জুন ০৪, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.