সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরী
মে ২৯, ২০১৩ ![pix-Project launching Workshop](https://dhakajournal.com/wp-content/uploads/2013/05/pix-Project-launching-Workshop-350x198.jpg)
বুধবার দুপুরে রাজধানীর লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরাম কনফারেন্স হলে ‘স্থানীয় সরকার ও সুশীল সমাজের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে পানি ও স্যানিটেশন খাতে সুশাসন নিশ্চিত করণ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
ইইউ’র সহযোগিতায় এনজিও ফোরাম এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গত জানুয়ারি থেকে এ প্রকল্প শুরু করা হলেও বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করা হয়।
প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে উইলিয়াম হাননা বলেন, “সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন প্রকল্পে সহযোগিতা দিচ্ছে। দূর্গম এলাকায় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
এনজিও ফোরামের সভাপতি মিসেস তাহেরুন নেসা আব্দুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম ও এনজিও ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু তাহের খান। আলোচনায় অংশ নেন ওয়াটার এইড’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. খায়রুল ইসলাম, এনজিও ফোরামের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশিদ এবং তথ্য ও গবেষণা বিভাগের প্রধান জোসেফ হালদার।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, “ইইউ তাদের কাজে তিনটি বিষয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গৃহীত পদক্ষেপ, দেশের মধ্যে সরকারের অঙ্গীকার ও সরকারি-বেসরকারি পদক্ষেপ এবং স্থানীয় পর্যায়ে চাহিদার ভিত্তিতে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। এর মাধ্যমে ইইউ সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র জনগৌষ্ঠিার কাছে সেবা পৌঁছে দিতে চায়।”
উইলিয়াম হাননা বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অনেক দূর্গম এলাকায় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তবে সেটা সব দূর্গম এলাকার মানুষ পাবে না।” সবার জন্য এই সুবিধা নিশ্চিত করতে তিনি সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দূর্গম এলাকায় পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রায় সাড়ে ৪৫ কোটি টাকার এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চার বছর মেয়াদী এই প্রকল্প দেশের ২৫টি জেলার ২৯টি উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হবে।
ছয় ধরনের অবহেলিত এলাকার মানুষ পাবে পানি ও স্যানিট্রেশন সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে, ক্ষরা ও বন্যা প্রবণ এলাকা। এছাড়া হাওড়, উপকুল, চর ও পাহাড়ী এলাকা এসব সুবিধা দেওয়া হবে।
ঢাকা জার্নাল, মে ২৯, ২০১৩