সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র নিন

জুলাই ২৫, ২০১৫

CECঢাকা জার্নাল: দেশে তৃতীয়বারের মতো ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে শনিবার। বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেক নাগরিকের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, সঠিক তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করুন।

তিনি বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীকেই সতর্ক হতে হবে। যেন কোনো ভুল না হয়। তাই সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র নিন। একই সঙ্গে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরিতে সহায়তা করুন।

শনিবার (২৫ জুলাই) নরসিংদী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারই প্রথম ১৫ বছর বয়স থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অর্থাৎ যারা ২০০০ সাল বা তার আগে জন্মগ্রহণ করেছেন তারাই এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে আওতাভুক্তের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা ভোটার হিসেবে গণ্য হবেন।

দেশের সব নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষেই ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আপাতত ১৫ থেকেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো কম বয়সীদের তথ্যও ধাপে ধাপে নেওয়া হবে।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, যারা একবার ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন, তাদের আর তালিকায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। হালনাগাদের সময় মৃতদের বাদ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সিইসি বলেন, শিগগিরই নাগরিকদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এতে নাগরিকরা সহজেই রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এ সময় নারীদের বেশি করে তালিকায় যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সবাইকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। প্রয়োজনে প্রচারণার মাধ্যমে বেশি বেশি করে উদ্ভুদ্ধ করার জন্য বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে নিলজ্জভাবে জালভোট হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা ছবিসহ ভোটার তালিকা এ জালভোট প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সবার স্মার্ট কার্ড হয়ে গেলে নির্বাচনের পরে ইসির ওপর কালিলেপন বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন একশভাগ নিরপেক্ষ। কেননা, প্রতিটি নির্বাচনে তারা মেধা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে।

অনুষ্ঠানের পর নরসিংদী পৌরসভার একটি বাসায় নিজে উপস্থিত থেকে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিইসি। তার উপস্থিতিতেই মেহেদী মোবারক (১৬), ফাতেমা শারমিন (১৭) ও ফারজানা আহমেদ নামে তিন তথ্যদাতার তথ্য সংগ্রহ করেন ইসির তথ্যসংগ্রহকারী। এ সময় নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, ইসি সচিব সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাদেশে মোট তিন ধাপে এ কার্যক্রম চলবে। দ্বিতীয় ধাপ ৬ আগষ্ট এবং তৃতীয় ধাপে তথ্য সংগ্রহের কাজ ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে। এবারের কার্যক্রমে মোট ৭২ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের কথা রয়েছে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৮১ কোটি টাকা।

বর্তমানে দেশে ৯ কোটি ৬২ লাখ ভোটার রয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ৯ কোটি ২০ লাখ নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। অবশিষ্টদের এখনও দেওয়া হয়নি। ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছিল। এরপর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দুইবার তা হালনাগাদ করা হয়।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৫, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.