সংসদীয় ভাষা শিখতে স্কুল খোলার পরামর্শ
জুন ২৪, ২০১৩ ![abdul-matin-khasro20121219084114](https://dhakajournal.com/wp-content/uploads/2013/06/abdul-matin-khasro20121219084114-350x223.gif)
সোমবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় দাঁড়িয়ে সংসদে অশালীন ভাষা ব্যাহারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ পরার্মশ দেন।
রোববার রানুর দেওয়া বক্তবের জবাবে প্রতিবাদ জানিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি সংসদ সদস্যদের (যারা সংসদীয় ভাসা জানেন না) ভাষা শেখানোর জন্য স্কুল খোলার পরামর্শ দেন প্রবীন এই পার্লামেন্টারিয়ান।
সংসদে দেওয়া অশোভন ভাষা ব্যবহারে ক্ষুদ্ব হয়ে তিনি বলেন, “গতকাল আমি বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কাজজপত্র সব ফেলে দিয়েছি। কালকে কি শুনলাম। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ ফজলুর রহমানকে নিয়ে গালাগালি করলো, গুয়াট ইজ হ্যাপেনন্ড। তাকি আমাদের শুনতে হবে। কি কথা বলেন কি বংশে উনারা জন্ম গ্রহণ করেছেন। আই হেট দ্যাট।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পার্লামেন্ট দ্যা সুপ্রিম। এখানে এসব বলার অধিকার আমাদের নেই।”
স্পিরের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু এক্সপাঞ্জ করবেন তা হবে না। কারণ ২০ বছর পর আমার সন্তান যখন এসব পড়বে কি বিশ্রি ভাষা, কি বিশ্রী চেহারা। আমার কিছুই বলতে ইচ্ছা করেন না। আমি বলতে চাই অর্থমন্ত্রী বাজেট দেবেন। সেই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রথম শর্ত হল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রথম বাধা হলো রাজনৈতিক সহিংসতা।
তিনি বলেন, আমার কাছে রেকর্ড আছে, ২০০৪ সালে মেরাটন হোটেলের কাছে, একটি বাসে আগুন ধরিয়ে ১০ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী বললেন এইটা আওয়ামী লীগের কাজ। একজন আসামীকে গ্রেফতার করলো একজন বাচ্চাকে টাকা দিয়ে মিথ্যা বলানো হলো আওয়ামী লীগ করিয়েছে। এটা আমাদের কালচারে নেই।” রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করতে স্পিকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
চট্টগ্রামের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে খসরু বলেন, “চট্টগ্রামে একজন মা তার ক্লাস নাইনে পড়া মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছেন স্কুলে। আমি দেখছি একজন বাস বোঝাউ লোক তার মধ্যে এসিড নিক্ষেপ করছে। একটি বেসরকারী টেলিভিশনে এটি দেখানো হচ্ছে। তাই আমি পরামর্শ দিতে চাই- হরতাল যারা ডাককে তারা সব ফৌদারি অপরাধসহ সব ধরণের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। যে দল হরতাল ডাকবে তাদের এক নম্বর আসামী হবে খুনের দায়ে।
রহিম ড্রাইকে আরা মারলো এর দায়িত্ব নিতে হবে বেগম খালোদা জিয়াকে। তিনি খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত। শেখ হাসিনা যদি ডাকে তাকেও আসামী করতে হবে। সোমবার হরতাল ডাকবেন আর রোববার সহিংসতা ঘটাবেন। এটি বন্ধ করতে হবে।
বিগত ৪২ বছরে যা দেখিনি যা বিএনপি এখন করছে। এটি কি গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আমি এই দলের অনেক সদস্যকে চিনি। তারা অনেক ভদ্রলোক। তাদের কি সুপ্রিম কোর্টে জিজ্ঞাসা করেছি তারা এটি ঠেকাতে পারেছেন না কেন? তারা কি দুর্বল হয়ে গেছেন?
খসরু বলেন সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। ঐক্যমত থাকবে জাতীয় ইস্যুতে।
তার পরে আরেকটা কথা বলতে চাই, আওয়ামী লীগ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ধর্মের বিরোধীতা করে না। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন।
বিরোধী দল অপপ্রচার করছে উল্রেখ করে তিনি বলেন, “হেফাজতের সমাবেশে ২ হাজার, তিন হাজার লোক মারা গেছে। কোন গ্রাম কোন এলাকা, কোথাকার একটা লোক মারা গেছে কেউ বলতে পারে না।
খালেদা জিয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এটিকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু আমাদের মা বোনো কি বলেন আমি বলবো না বলবো না।
ঢাকা জার্নাল, জুন ২৪, ২০১৩