রোববারেও ২১ লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা ৫৮৪
মে ৫, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: সাভারে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে রোববার ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আরো ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসের ১২তম দিনে উদ্ধার করা মৃতদেহের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৮৪টি। এর মধ্যে ৪৬৯ জনের মৃতদেহ শনাক্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা গেছে।
সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনো অনেক লাশ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এদিন সকাল ১০টায় ভবনের পেছনের অংশের ৪র্থ তলায় অবস্থিত ফ্যান্টম গার্মেন্টসে বেশ কয়েকটি লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১২টি লাশ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। আরও লাশ রয়েছে বলে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে।
এর মধে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। এরা হলেন, ফ্যান্টম অ্যাপারেলসের আয়রন ম্যান, মালেক (আইডি ১৬২), একই কারখানার সুইন অপারেটর শামীমা (আইডি ১৫০), হেলপার রহিমা (কার্ড নং ৩১৯)।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, এখন যেসব লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই গলিত, অর্ধগলিত। ফলে লাশ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যেমন শনিবার সারা দিন-রাতে ২৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মাত্র ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনাস্থলে স্থাপিত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনার ১২তম দিন রোববার সকাল সাড়ে পৌনে ১০টার দিকে সর্বশেষ যে কয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোও গলিত।
এদিকে, রানা প্লাজার সামনে ও অধরচন্দ্র স্কুল মাঠে শোকাহত স্বজনেরা এখনো অপেক্ষা করছেন তাদের প্রিয় মানুষটির মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার আশায়।
গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে। এতে ব্যাপক প্রাণহানির এ ঘটনা ছাড়াও আহত ও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার ৪৩৭ জন শ্রমিককে।
সে সময় ওই ভবনে থাকা ৫টি পোশাক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করছিলেন। এর আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখা দিলেও তাদের জোর করে কাজে ঢোকানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন বেঁচে ফেরা শ্রমিকরা।
ঢাকা জার্নাল, মে ০৫, ২০১৩