রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে অপপ্রচার

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩

Rampal-Power-Plant-1ঢাকা জার্নাল: সবার জন্য যৌক্তিক মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সুন্দরবন থেকে নিরাপদ অবস্থানে ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে জনস্বার্থে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে, যা ইউনেস্কো স্বীকৃত ন্যাশনাল হেরিটেজ থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে।

রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধীতার মূখে বৃহস্পতিবার সরকার প্রেসনোট জারি করে এ ব্যখ্যা দিয়েছে।

প্রেসনোটে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে বাগেরহাটের রামপলে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন সরকারের এ উদ্যোগের বিষয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প যা জনস্বার্থে সরকার বাস্তবায়ন করছে।

বর্তমান সরকারের বিদ্যৎ খাতের ভিশন-২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য যৌক্তিক মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। সরকারের রূপকল্প-২০২১ এবং বিদ্যুৎখাতের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় বিগত ৫ বছরে ৫৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ৯ হাজার ৭১৩ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করেছে।

প্রেসনোটে আরো বলা হয়, বর্তমানে গ্যাসের স্বল্পতা এবং মজুদ ক্রমান্বয়ে কমে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি হিসেবে কয়লাকে প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে।

প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবন থেকে নিরাপদ অবস্থানে ১৪ কিলোমিটার এবং ইউনেস্কো স্বীকৃত ন্যাশনাল হেরিটেজ থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে বলে প্রেসনোটে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রেসনোটে আরো বলা হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ও উন্নতমানের আমদানি নির্ভর কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এতে কার্বন, সালফার, ফ্লাই অ্যাস ও অন্যন্য বায়ৃদূষণের পরিমাণ ন্যূনতম পর্যায়ে থাকবে, যা পরিবেশের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলবে না। এ ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদপ্তরের ইনভায়র্নমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এ্যাসেসমেন্ট (ইআইএ) প্রতিবেদনের অনুমোদনের জন্য যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

এছাড়া দারিদ্র পীড়িত এ এলাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন হলে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেও প্রেসনোটে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.