রাজপথ থেকে সোয়ানের শ্রমিক মিনতি হাসপতালে

ঢাকা জার্নাল: ঈদের দিন সকাল থেকে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মিনতি বেগম (২৫) অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ থেকে যখন দলে দলে মুসল্লীরা নামাজ শেষে ঈদের আনন্দ করে ফিরে যাচ্ছেন। সে সময় মিনতি ফ্যালফ্যাল করে তাদের দিতে তাকিয়ে থাকে। এরপরপরই জ্ঞান হানিয়ে ফেলেন আন্দোলনরত এই তৈরি পোশাক শ্রমিক।

পরে তাকে সহকর্মীরা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ গার্টেমন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুর মঈন জানান, স্বামী সন্তান নিয়ে ঈদ করার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার যন্ত্রণা থেকেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আর টানা আন্দোলনের কারণে খেয়ে না খেয়ে কাটানোর কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল ছিল। সে কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়ে মিনতি।

গত ১২ জুলাই থেকে প্রায় ৪০০ সোয়ান গার্মেন্টস শ্রমিক জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। ১৩০০ শ্রমিকের চার মাসের বেতন-বোনাস দাবি করে আসছে। ঈদের আগেই পাওনা আদায়ে শুরু করা কর্মসূচি চলছে সাত দিন ধরে। শ্রমিকরা বাংলাদেশ গার্টেমন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ব্যানারে এ আন্দোলন করছেন।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে শ্রমিকরা ঘোষণা দেয় ঈদ করবে রাজপথে। শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সঙ্গে ঈদ করার আহ্বানও জানায়।

প্রেসক্লাবের সামনে ঈদের দিন শনিবার সকালে শ্রমিকদের সঙ্গে  আন্দোলনে অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলে (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, যুব ইউনিয়নের সভাপতি কাফী রতন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হাকিম লালা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যডভোকেট মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন এবং যুগ্ম সম্পাদক জলি তালুকদার।

সোয়ান গান্মেন্ট শ্রমিক মাকসুদার আহাজারির ভিডিও দেখুন-

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১৮, ২০১৫।