মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে আধুনিক চাষ জরুরি

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৪

Photo 2ঢাকা জার্নাল : দেশের চিংড়ি ও মৎস্যসম্পদের উন্নয়নে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও আধুনিক চাষ ব্যবস্থাপনা জরুরি বলে মনে করেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ রপ্তানি খাত এগিয়ে গেলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মত দেন তারা।

রবিবার সকালে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে ‘গুড অ্যাকুয়াকালচার প্র্যাকটিস ইন বাংলাদেশ : স্ট্যাটাস অব গুড ফুড’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এ মতামত ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশন (বিএসএফএফ), সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. সেলিনা আফরোজ।

তিনি বলেন, দেশে হাজারো প্রজাতির মাছ থাকলেও জলবায়ু পরির্তনের প্রভাবে সেটা আজ কমে যাচ্ছে। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সব পক্ষকে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে কাজ করা জরুরি।
এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, জিডিপিতে মৎস্যসম্পদের অবদান ৪.৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে দেশের ১১ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। তাই এ খাতের উন্নয়নে আরো বেশি গবেষণা দরকার।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থপন করেন, বিএসএফএফ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মাহমুদুল করিম।প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে মাছের অবদান শতকরা ৬০ ভাগ। এ ছাড়া অ্যাকোয়াকালচারের অবদান মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৫৫ শতাংশ এবং মোট জাতীয় রপ্তানির ৮০-৮৫ শতাংশ।

বাংলাদেশের চিংড়িচাষিদের নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ চিংড়িচাষিরা তাদের উৎপাদিত মাছ তাৎক্ষণিকভাবে হিমায়িত করতে পারেনা। আর ৬০শতাংশ চাষি হিমায়িত না করে পরিবহন করে থাকেন। গ্রহণযোগ্য ও আধুনিক চাষ ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি চাষিদের সরকারি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেয়া জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএফএফ-এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক। এসময় তিনি বলেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা এখন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। সেক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হলে জাতীয় উদ্যোগকে সবার সহায়তা করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অধিক খাদ্য উৎপাদন করা দরকার। এজন্য দেশের উৎপাদন পদ্ধতি স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিবেশ সহায়ক হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

কর্মশালায় বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ নিয়ে গবেষণা করেন- এমন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন, এফএও-এর কান্ট্রি প্রজেক্ট ম্যানেজার নুরুল ইসলাম, সোলিডারিডেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. সেলিম রেজা হাসান, জিপসান-এর গবেষক ড. ক্লার নেরড ও মাইকেল জানক।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড রপ্তানিকারকদের সভাপতি আমিনউল্লাহ, আমেরিকান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ড. শ্যান ডেনিলসন, ইউনিডো বেস্ট এর প্রতিনিধি ড. শেঠি সীতারামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়া ২৩, ২০১৪।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.