ভিন্ন মাত্রার শরীরী সৌন্দর্য

জুন ১, ২০১৩

tato-0020130526070409ঢাকা জার্নাল: শুধু পোশাকে নয়, পোশাকের আড়ালে আবজালে দেহের সৌন্দর্য বাড়তে নারীদের চেষ্টার অন্ত নেই। পুরুষদের আকর্ষণ বাড়তে নানা কায়দায় শরীর প্রদর্শন করে ভিন্ন মাত্রার
সৌন্দর্য প্রখাশে আগ্রহী মেয়েরা। এর মধ্যে ট্যাটু বা উল্কির চাহিদা দীর্ঘকালের।

তবে বর্তমান সময়ে এর চাহিদা আরো চেড়েছে। জীবন যাত্রায় বৈচিত্র আনতেই এর প্রচলন বেড়েছে। হলিউড-বলিউড কিংবা রেসলিং তারকাদের ক্ষেত্রে এর প্রচলনটা একটু বেশি। আজকাল আমাদের দেশের মডেলরাও তাদের ফ্যাশনের আনুষঙ্গিক হিসেবে ট্যাটু ব্যবহার করছেন।

ছাত্র-ছাত্রী, গায়ক-গায়িকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দেহও উল্কির নানা রঙে রঙিন হয়েছে৷ জার্মানিতে চালিত একটি জরিপে জানানো হয়েছে, ৩৫ বছরের নীচে যাদের বয়স তাদের পাঁচজনের মধ্যে একজনের গায়ে উল্কি আঁকা রয়েছে৷

সাধারণত দুটি উপায়ে ট্যাটুর ব্যবহার করা হয়। একটি হচ্ছে স্টিকার আর অন্যটি খোদাই করা। যেটিকে উল্কি বলা চলে।

তবে আমাদের দেশে খোদাই করা অপেক্ষা স্টিকার ট্যাটুর প্রচলনটাই বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমলে বিভিন্ন রং ও ঢংয়ের এ স্টিকার কিনতে পাওয়া যায়।

বিশেষ করে বসুন্ধরা শপিংমল, খিলখেত ও নিউমার্কেটে এলাকার দোকানগুলোতে স্টিকার ট্যাটু কিনতে পাওয়া যায়। দাম পড়বে সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা থেকে ১০০০ টাকার ওপরে।

স্টিকার ট্যাটু ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করা যায়। এ কারণে আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীদের কাছে এর চাহিদাটা বেশি। তারা বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে বিভিন্ন রংয়ের স্টিকার লাগাতেTattoo-0120130528034053

পারেন।

অন্যদিকে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। কিন্তু খোদাই করা ট্যাটুর ক্ষেত্রে বেশ ঝামেলাও পোহাতে হয়। তাছাড়া খরচও বেশি। চাইলেই পরিবর্তন করা যায় না। যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এ ট্যাটু তার গায়ে থাকবে।

এ উল্কি আঁকা যন্ত্রটি দেখতে ডেনটিস্টের ড্রিল মেশিনের মতো। বিদ্যুৎচালিত এ যন্ত্রের মাথায় সুক্ষ্ম সুঁই লাগানো থাকে। দেহের ভেতর যতবার সুঁই ফুটবে ততবার রং চামড়ার ভেতরে গিয়ে জমা হবে। পরে এ রংটি শুকিয়ে ট্যাটুর আকার ধারণ করবে।

প্রায় ক্ষেত্রেই এ রং মানুষের শরীরে ব্যবহারের জন্য ক্ষতিকর। কারণ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণে এটি তৈরি করা হয়। যেটি প্লাস্টিক বা কঠিন পদার্থের ওপর প্রয়োগ করা হয়।

তাই ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তিদের এটি ব্যবহারের আগে এর ক্ষতিকারক দিকগুলোর উপরও সচেতনতা থাকতে হবে।

ঢাকা জার্নাল, জুন ০১, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.