ভারতে ৪০ লাখ এইডস রোগী

মে ২৮, ২০১৩

India-sm20130527014527ঢাকা জার্নাল: ভারতে     বর্তমানে এইডস বা এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এই হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নাইজিরিয়ার পরই ভারতের স্থান।

ভারতে এইচআইভি সংক্রমণ বাড়ার কারণ কী ? বিশাল জনবহুল দেশ ভারত। জনবহুল দেশ ভারতে স্বাস্থ্য পরিষেবা তেমনভাবে গড়ে উঠতে পারেনি। এদিকে জনগণের একটা অংশ অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিতসহ সচেতনতার অভাবে এইডস সংক্রমণ বাড়াটা অস্বাভাবিক নয়।

এদিকে আগামী ২০১৭ সাল নাগাদ এইডস সংক্রমণ মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২,৫৫০ কোটি টাকার এক প্রকল্প অনুমোদন করেছে। ভারতে এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি যাঁদের সবচেয়ে বেশি, তাদের সুরক্ষিত জীবনযাপনের সুযোগ বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে এইডস নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ইউএনএইডস। ভারতের বিখ্যাত ওষুধ কোম্পানি সিপলা ও ৠানব্যাক্সি কম দামে এইডস বা এইচআইভি প্রতিরোধক ওষুধ বাজারে ছেড়েছে। যার ফলে বহু জীবন রক্ষা পেয়েছে শুধু ভারতেই নয়, আফ্রিকা মহাদেশেও।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে ভারতে প্রথম এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়ে চেন্নাইতে। তারপর থেকে একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেন্দ্রীভূত থাকে সমাজের গরিব, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে। যার মধ্যে আছে গ্রাম থেকে শহরে আসা শ্রমিক, ড্রাগ সেবনকারী, পুরুষে-পুরুষে যৌন সম্পর্ক ও যৌনকর্মী।

এই এইডস আক্রান্তদের সংখ্যা মহিলাদের মধ্যে বেশি। চারজনের মধ্যে একজন মহিলা। ভারতের মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, নাগাল্যান্ড, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও মণিপুরের স্থান ওপরের দিকে।

এইডস সাধারণত ছড়ায়- অসংরক্ষিত যৌন সম্পর্ক, এইচআইভি সংক্রামক ব্যক্তির রক্ত নেওয়া, সংক্রামিত ইনঞ্জেকশন সিরিঞ্জ ব্যবহার করা। এয়াড়াও এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মা থেকে সন্তানের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ায়।

এইডস’র লক্ষণগুলো হল-দেহের ওজন কমে যাওয়া, একমাসের বেশি জ্বর, একমাসের বেশি পেট খারাপ, একমাসের ওপর কাশি থাকা, চুলকানি, মুখে ও গলায় সাদা সাদা দাগ এবং লিম্ফ গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
এইডসকে প্রতিহত করার একমাত্র উপায় শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো। স্কুল ও কলেজে এইডস শিক্ষা কর্মসূচি চালু করাও আবশ্যক।

ঢাকা জার্নাল, মে ২৭, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.