বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদ্মাসেতুর টেন্ডার

জুন ২৬, ২০১৩

padma-view-61ঢাকা জার্নাল: বুধবার (আজ) বিকেলে অথবা বৃহস্পতিবার সকালেই পদ্মাসেতুর টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে বাংলাদেশে সফরকারী চীনের প্রতিনিধিদলের সংগে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

চীনের পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ফেং ঝেংলিন এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এর আগে পদ্মা সেতুর জন্য এপ্রোচ সড়ক ও সার্ভিস লাইন টেন্ডারও আহ্বান করা হয়েছে।মূল সেতুতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। বাঁকি থাকল শুধু নদী শাসন বলে জানান যোগাযোগ মন্ত্রী।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর ব্যয় ধরা হয় ২৯০ কোটি ডলার। এতে বিশ্ব ব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও পরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করে।

চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তারা ভারত-বাংলাদেশ-মিয়ানমার হয়ে চীনের কুমিং পর‌্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। চীনের প্রস্তাবে বাংলাদেশ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। প্রস্তাবটি সম্ভাব্যতা যাচাই পর‌্যায়ে রয়েছে।

দেশের স্বার্থেই এই ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই মহাসড়ক হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যপক উন্নয়ন হবে।

তবে এই মহাসড়ক নির্মাণ করতে হলে চার দেশের যৌথভাবে বসা উচিত। এ ছাড়া চার দেশের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন রয়েছে বলে বাংলাদেশ জানিয়েছে।

মন্ত্রী জানান, “বাংলাদেশ ও চীনের রাস্তা ভালো আছে। মিয়ানমারের অবস্থা খারাপ আর ভারত অংশের রাস্তা ভালো না।”

কর্ণফূলি টানেলে চীন বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান যোগাযোগ মন্ত্রী।প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ পর‌্যায়ে রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফোর লেনে উন্নীত করণ প্রকল্পের ১০টি প্যাকেজের মাধ্যে ৭টি পেয়েছে সিনো হাইড্রো।অর্থের সংস্থান থাকলেও চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো প্রাথমিক বিনিয়োগে ব্যর্থ হওয়ায় কাজ বিলম্ব হচ্ছে।

বিষয়টি চীনা প্রতিনিধি দলকে অবগত করা হয়।এসময় চীনা ভাইস মিনিস্টার জানিয়েছেন কাজ দেওয়ার আগে দেখে শুনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করার অনুরোধ করেছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোর লেন করণ প্রকল্প আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, “ আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে দরপত্র করা হয়েছে। এর দায় আমি নিতে পারছি না।আবার এড়াতেও পারছি না।”

যোগাযোগ বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সেতু বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা জার্নাল, জুন ২৬, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.