বিএনপি ৫১, আ’লীগ ৪৪, জামায়াত ৮

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪

Electionঢাকা জার্নাল : দেশব্যাপী দ্বিতীয় দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। 
বৃহস্পতিবার রাত ৪টা পর্যন্ত ১১০ উপজেলার ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত ৫১ জন (১জন বিদ্রোহীসহ), আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৪৪ জন (১জন বিদ্রোহী), ইউপিডিএফ সমর্থিত ২ জন ও জনসংহতি সমিতির ৩ জন প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

এছাড়া রাজশাহীর বাঘা, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাসহ ৮টিতে জামায়াত প্রার্থী জয় পেয়েছে।

অধিকাংশ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।

বাংলানিউজের স্টাফ, ডিস্ট্রিক্ট ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর:

সাভার: সাভার উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কফিল উদ্দীন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ফিরোজ কবীর পেয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৩ ভোট। রাত পৌনে ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজিমুদ্দীন এ ফল ঘোষণা করেন।

চাঁদপুর: মতলব (দক্ষিণ) উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ৪৩ হাজার ৮৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত আব্দুস শুক্কুর পাটোয়ারি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৫৫ ভোট।

জামালপুর: বকশিগঞ্জ উপজেলার বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুর রব তালুকদার ৩৪ হাজার ৫৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু জাফর পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৭৭ ভোট।

ফরিদপুর: তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২টিতে বিএনপি ও ১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

এর মধ্যে বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এম এম মুশাররফ হোসেন মুছা ৫৮ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মো.সিদ্দিকুর রহমান পেয়েছেন ৫১ হাজার ৫১৩ ভোট।

নগরকান্দা উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত সৈয়দ শাহিনুজ্জামান ৩১ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মনিরুজ্জামান সরদার ২৮ হাজার ৪০০ ভোট পেয়েছেন।

সালথা উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত ওয়াহিদুজ্জামান ওহিদ ২৯ হাজার ৯৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গতবারের উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পেয়েছেন ২৬ হাজার ১৮৪ ভোট।

ভোলা: বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মহব্বত জান চৌধুরী ৯০ হাজার ৯৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৯ ভোট।

লালমনিরহাট: পাটগ্রাম উপজেলায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী রুহুল আমিন বাবুল। তিনি পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৫০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ দলীয় জোটের জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আবু হেনা মোহাম্মদ এরশাদ হোসেন সাজু পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১২৩ ভোট।

সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী একেএম মমিনুল হক ৭৭ হাজার ৯৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি সমর্থিত একেএম মাহবুবুল আলম প্রামাণিক পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭২১ ভোট।

হাতিবান্ধায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ৩৩ হাজার ৭৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী জামায়াত সমর্থিত হাবিবুর রহমান সাতা পেয়েছেন ২১ হাজার ৯০০ ভোট।

নোয়াখালী: কবিরহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কামরুন্নাহার শিউলি ৬৩ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. ইলিয়াস পেয়েছেন ১৪ হাজার ১১৭ ভোট।

বগুড়া: আদমদীঘি উপজেলায় বিএনপি প্রার্থী আ. মুহিত তালুকদার ৫৫ হাজার ৮২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খান রাজু পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২২২ ভোট।

পিরোজপুর: কাউখালী উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আহসান কবীর ১৩ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবু সাইদ মিয়া মনু পেয়েছেন আট হাজার ৬৭২ ভোট।

নাজিরপুরে বিএনপির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম খান (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের এম এ মালেক বেপারী (দোয়াত-কলম) পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।

কুষ্টিয়া: খোকসা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সদর উদ্দিন খান‍ ৪৪ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমজাদ আলী ৩০ হাজার ৩১৬ ভোট পেয়েছেন।

কুমারখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ. মান্নান খান ৮২ হাজার ৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নুরুল ইসলাম আনছার ৭৫  হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়েছেন।

মিরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাম‍রুল আরেফিন ৮৮ হাজার ৯৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আ. হক ৪০ হাজার ৭২১ ভোট পেয়েছেন।

ফেনী: পরশুরাম উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কামাল উদ্দিন মজুমদার ৩২ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী আবু তালেব পেয়েছেন ১৮ হাজার ২১৮ ভোট।

ভোলা: চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আখন ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫১টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোতাহার হোসেন আলমগীর পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৯৬  ভোট।

খাগড়াছড়ি: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত সুপার জ্যোতি চাকমা জয়ী হয়েছেন ৪ হাজার ১৩০ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সা থোয়াই মারমা পেয়েছেন ২ হাজার ৩৩৩ ভোট।

মাগুরা: শালিখা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত মোজাফফর হোসেন টুকু। তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত শ্যামল কুমার দে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭৪২ ভোট।

মোহাম্মদপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বাচ্চু ২৩ হাজার ৯০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ আলী করিম ২৩ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়েছেন।

মেহেরপুর: মুজিবনগর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত আমিরুল ইসলাম ৩০ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস পেয়েছেন ২৭ হাজার ১০৫ ভোট।

বান্দরবান: জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে দু’টিতে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), একটিতে বিএনপি ও একটিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী বেসরকারি ভাবে জয়ী হয়েছেন।

এর মধ্যে থানচি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যহ্লচিং মারমা (হেলিকপ্টার) ১৩টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৩ হাজার ২৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত খামলাই ম্রো পেয়েছেন ২ হাজার ১৭৩ ভোট।

রুমা উপজেলায় জেএসএস (সন্তু লারমা) সমর্থিত অংথয় চিং (আনারস) ১৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৬ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী বাসিং থই পেয়েছেন ২ হাজার ৯৯৫ ভোট।

রোয়াংছড়ি উপজেলায় জেএসএস (সন্তু লারমা) সমর্থিত ক্যাবামং (আনারস) ২০টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৬ হাজার ৫০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী চহাই মং পেয়েছেন ৪ হাজার ৬০৬ ভোট।

লামা উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী থোয়াই নু অং চৌধুরী (মোটরসাইকেল) ৩৬টি কেন্দ্রের ফলাফলে ১৯ হাজার ৬৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইসমাইল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৩০ ভোট।

বাগেরহাট: জেলার কচুয়া উপজেলায় ২২ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এসএম মাহফুজুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদ সরদার পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৫৮ ভোট।

যশোর: শার্শা ও চৌগাছায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

শার্শা ‍উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সিরাজুল হক মঞ্জু ৮০ হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী খায়রুজ্জামান মধু পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৬৩ ভোট।

চৌগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এস এম হাবিবুর রহমান ৭১ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৭৩৬ ভোট।

বাঘারপাড়া উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মশিউর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯৩১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রউফ ৪৫ হাজার ২০৫ ভোট পেয়েছেন।

ঝিকরগাছা উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাবিরা নাজমুল মুন্নী। তিনি পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৭৩ ভোট। নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৭ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুছা মাহমুদ পেয়েছেন ২৬ হাজার ভোট।

রাজশাহী: বাঘা উপজেলায় উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা জিন্নাত আলী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৪২০ ভোট। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আজিজুল আলম পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৬০৩ ভোট।

গাইবান্ধা: পলাশবাড়ীতে চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী আবুল কাওছার মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন, প্রাপ্ত ভোট ৫৩ হাজার ৭১৬ ভোট। নিকটতম আ.লীগের প্রার্থী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ পেয়েছেন ২১ হাজার ৭২৫ ভোট।

নোয়াখালী: কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগ সমর্থিত মিজানুর রহমান বাদল ৭৫ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ূন কবির পলাশ (বিএনপি) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৩৩ ভোট।

মাদারীপুর: রাজৈরে উপজেলায় আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাজাহান খান ৫১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম বিএনপি সমর্থিত মিল্টন বৈদ্য পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬শ ৮৬ ভোট।

শিবচরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকাদার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম বিএনপি সমর্থিত খলিলুর রহমান চৌধুরী ঠাণ্ডু  পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৭৮ ভোট।

দিনাজপুর: বীরগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবং ঘোড়াঘাটে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

ঘোড়াঘাটে বিএনপির প্রার্থী শামীম হোসেন চৌধুরী ২৪ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রাফে খন্দকার পান ২০ হাজার ৬১০ ভোট।

বীরগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ৫১ হাজার ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জামায়াতের প্রার্থী কেএম কুতুবউদ্দীন পান ৩২ হাজার ৫৩০ ভোট।

চিরিরবন্দর উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত আফতাবউদ্দীন মোল্লা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৯০ ভোট।

নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত তারিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট।

চট্টগ্রাম: জেলার পটিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

পটিয়ায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোজাম্মেল হক টিপু পেয়েছেন ৮১ হাজার ৪৫৮ ভোট। নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নাসির আহমেদ পেয়েছেন ৩০ হাজার ১৮ ভোট।

লোহাগাড়ায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন খান পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৫৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এলডিপির প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২১৯ ভোট।

বগুড়া: শাজাহানপুর উপজেলায় ৬৭ হাজার ৩১২ ভোট পেয়ে বিএনপি সমর্থিত উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও বিএনপি নেতা সরকার বাদল নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৬২৯ ভোট।

শিবগঞ্জে ৮৬ হাজার ৫৭৯ ভোট পেয়ে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবু নছর আলমগীর হুসাইন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত জেলা বিএনপি নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৩৮৩ ভোট।

কাহালু উপজেলায় ৫৫ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম বিএনপি সমর্থিত ফরিদুর রহমান ফরিদ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৪৮ ভোট।

সুনামগঞ্জ: সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৩৭ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জুনেদ আহদম পেয়েছেন ১৪ হাজার  ৪২০ ভোট।

দিরাই উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান তালুকদার ৪৫ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলতাব উদ্দিন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৬০ ভোট।

পঞ্চগড়: তেতুলিয়ায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী রেজাউল করিম শাহীন জয়ী হয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম এবং রানীশংকৈলে বিএনপির আইনুল হক জয়ী হয়েছেন।

টাঙ্গাইল: সখীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শওকত শিকদার নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের শওকত শিকদার পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৩৪ ভোট। নিকটতম বিএনপি সমর্থিত খোরশেদ আলম মাস্টার ২৫ হাজার ৯১৩ ভোট।

নেত্রকোনা: খালিয়াঝুরি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামছুজ্জামান তালুকদার শোয়েব নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৩ হাজার ৫৯৭ ভোট পান। নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাসুদ রানা পান ৮ হাজার ৬৫ ভোট।

পূর্বধলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাউদুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৯৭০ ভোট।

বারহাট্টায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মানিক আজাদ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পান মোট ১৮ হাজার ৭৫২ ভোট। নিকটতম আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাইনুল হক কাশেম পান ১৬ হাজার ৪৫৯।

কলমাকান্দা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এসএম ফখরুল ইসলাম ফিরোজ ৩৬ হাজার ৭৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আনিছুর রহমান পাঠান বাবুল পান ৩১ হাজার ৮০৪ ভোট।

রাঙামাটি: কাপ্তাই উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী দিলদার হোসেন ৮ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পান ৭ হাজার ৫১৭ ভোট ভোট।

এদিকে, নানিয়ারচরে জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত প্রার্থী পান ৭ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম ইউপিডিএফ সমর্থিত প্রার্থী সুপেন চাকমা পান ৬ হাজার ৯০৮ ভোট।

মেহেরপুর: গাংনী উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মুরাদ আলী ৭৬ হাজার ৫৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মকলেছুর রহমান মুকুল পান ৫৮ হাজার ৬৪৩ ভোট।

ঝিনাইদহ: মহেশপুর উপজেলায় জামায়াতের আব্দুল হাই ৬৬ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ময়েজউদ্দীন হামিদ পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৩৫৯ ভোট।

শেরপুর: ঝিনাইগাতিতে বিএনপি সমর্থিত আমিনুল ইসলাম বাদশা পদে ৩২ হাজার ৪২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এস এম আবদুল্লাহেল ওয়ারেছ নাইন পান ২৭ হাজার ৩৮৬ ভোট।

সাতক্ষীরা: শ্যামনগর উপজেলায় জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল বারী ৬৯ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম আনিছুজ্জামান আনিচ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৬১৭ ভোট।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বাইরুল ইসলাম ৭৪ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হুমায়ন রেজা ৫৯ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়েছেন।

রংপুর: বদরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ফজলে রাব্বী সুইট (কাপ-পিরিচ), প্রাপ্ত ভোট ৩৯ হাজার ৬৬১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির শাখাওয়াৎ হোসেন শাহান (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪২২ ভোট।

কুড়িগ্রাম: রাজিবপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শফিউল আলম ৯ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. মোখলেছুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ৮১৬ ভোট।

এদিকে, রাজারহাট উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আবুল হাশেম হোসেন ২৯ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দি পান ২২ হাজার ৮৮৬ ভোট।

অপরদিকে, নাগেশ্বরী উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আবুল কাশেম সরকার ৫২ হাজার ২৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি বিদ্রোহী প্রার্থী একেএম মোহিবুল হক খোকন পান ২৯ হাজার ১৫৬ ভোট।

চাঁদপুর: ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ৫৭ হাজার ২৩২ পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির (বিদ্রোহী প্রার্থী) মো. আবদুল হান্নান পেয়েছেন ৩২ হাজার ৭৪০ ভোট।

হবিগঞ্জ: চুনারুঘাটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবু তাহের ৫১ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত সৈয়দ লিয়াকত হাসান পান ৪৭ হাজার ৫৬৯ ভোট।

নীলফামারী: কিশোরগঞ্জে জাতীয় পার্টি সমর্থিত রশিদুল ইসলাম সরকার ৩৫ হাজার ৭৭৩ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত অধ্যাপক রাজ্জাকুল ইসলাম রাজা পান ২৬ হাজার ৮০৭ভোট।

জয়পুরহাট: সদর উপজেলায় ৮৪ হাজার ৩২৭ ভোট পেয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব ফজলুর রহমান জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত আরিফুর রহমান রকেট পান ৩৯ হাজার ৪২৭ ভোট।

এদিকে, কালাই উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মিনফুজুর রহমান মিলন ৩৯ হাজার ৮৬৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন ফকির পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৯ ভোট।

ক্ষেতলাল উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী রওনোকুল ইসলাম টিপু ২৩ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত তাইফুল ইসলাম তালুকদার পান ২০ হাজার ৮২১ ভোট।

সুনামগঞ্জ: সদর  উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন ৩৭ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী মো. জুনেদ আহমদ পান ১৪ হাজার ৪২০ ভোট।

নোয়াখালী: চাটখিলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাহাঙ্গীর কবির ৪৯ হাজার ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৪০ হাজার ৯১১ ভোট।

কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মিজানুর রহমান বাদল ৭৫ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত হুমায়ূন কবির পলাশ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৩৩ ভোট।

সোনাইমুড়ি উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত আনোয়ারুল হক কামাল ৫৩ হাজার ২৯৪  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ ফ ম বাবুল পান ১৭ হাজার ৮০৬ ভোট।

তবে নোয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

সিলেট: বালাগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদাল মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৪১৭ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোস্তাকুর রহমান মফুর পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৮৭ ভোট।

মুন্সীগঞ্জ: সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনিছুজ্জামান আনিছ ১ লাখ ৩০ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোশারফ হোসেন পুস্তি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৭৪ ভোট।

শ্রীনগর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত মমিন আলী ৫৯  হাজার ৬৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের সেলিম আহমেদ ভূঁইয়া পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৮১ ভোট।

কুমিল্লা: মনোহরগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. ইলিয়াছ পাটোয়ারী ৪০ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. জাকির হোসেন ৩৮ হাজার ৫৯১ ভোট পান।

এদিকে, দেবিদ্বার উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত মো. রুহুল আমিন ৬৭ হাজার ৭৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী এ এফ এম তারেক পান ৫৮ হাজার ৬২১ ভোট।

নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাফিজুর রহমান ২৭ হাজার ৫৪৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৩২ ভোট।

সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের শরিফুল ইসলাম রমজান ৬৫ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির রহিম নেওয়াজ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৬৯ ভোট।

অপরদিকে, গুরুদাসপুর উপজেলায়  বিএনপি সমর্থিত  আব্দুল আজিজ ৪০ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির বিদ্রোহী আয়নাল হক তালুকদার পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৪ ভোট।

লালপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হারুণ অর রশিদ পাপ্পু পেয়েছেন ৬১ হাজার ২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মাহমুদুল হক মুকুল পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৬৮৫ ভোট

বান্দরবান: বান্দরবানের লামায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী থোয়াইনু অং চৌধুরী ২০ হাজার ১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল পান ১৫ হাজার ৭৫৫ ভোট।

চাঁদপুর: চাঁদপুর সদরে বিএনপির সমর্থিত দেওয়ান মো. শফিকুজ্জামান ৭৮ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. ইউছুফ গাজী পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৮৩ ভোট।

এদিকে, মতলব (উত্তর) উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মঞ্জুর আহম্মেদ ১ লাখ ৩২ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত আমান উল্লা সরকার পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৬২ ভোট।

অপরদিকে, ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শাহেদ সরকার ৫৭ হাজার ২৩২ পেয়ে ভোট পেয়ে  নির্বাচিত হন। তার নিকটতম বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আবদুল হান্নান পেয়েছেন ৩২ হাজার ৭৪০ ভোট।

কক্সবাজার: চকরিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জাফর আলম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৫ হাজার ১৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭১ ভোট।

গোপালগঞ্জ: কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান হাওলাদার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম অপর আওয়ামী লীগ নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৭৭ ভোট।

এদিকে সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু ৪০ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাসদের মাহামুদ হোসেন মোল্লা দিপু পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৫ ভোট।

ফেনী: ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রহমান ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৩২ ভোট পেয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯০০ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: সরাইল উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রহমান ৩৯ হাজার ১৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ওসমান উদ্দিন খালেদ পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪০ ভোট।

নরসিংদী: শিবপুরে মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের প্রার্থী আরিফুল ইসলাম মৃধা (দোয়াত-কলম) ৩৯ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত তোফাজ্জল হোসেন (টেলিফোন) পেয়েছেন ৩০ হাজার ২১৩ ভোট।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ সদরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আতাউর রহমান আতা (দোয়াত-কলম) ৭৭ হাজার ৭০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইস্রাফিল হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৪ ভোট।

এদিকে, হরিরামপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্র্থিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী শাতিল (কাপ-পিরিচ) ৩৪ হাজার ৪৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাইদুর রহমান (আনারস) পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৭৬ ভোট।

পাবনা: চাটমোহর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাহাদুল ইকলাম হিরা ৫৫ হাজার ৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মির্জা রেজাউল করিম দুলাল পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৮১৭ ভোট।

এদিকে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নূর মোজাহিদ স্বপন ২৪ হাজার ৭৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বাকি বিল্লাহ পেয়েছেন ২২ হাজার ২১২ ভোট।

খুলনা: ডুমুরিয়ায় ১৯ দলীয় জোট প্রার্থী বিএনপির খান আলী মুনসুর ৮০ হাজার ৪১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত গাজী আবদুল হাদী পেয়েছেন ৭৪ হাজার ১৫০ ভোট।

জামালপুর: মেলান্দহ উপজেলায় ‍ আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ কে এম হাবিবুর রহমান চাঁন (দোয়াত-কলম) ৬১ হাজার ৮০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গোলাম হাফিজ নাহিন (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১‍৫৬ ভোট।

এদিকে, ইসলামপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত নবী নেওয়াজ খান লোহানী বিপুল ৫৮ হাজার ৫৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের জিয়াউল হক জিয়া পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৩১৯ ভোট।

ঢাকা: কেরানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের শাহিন আহমেদ ১ লাখ ৪২ হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজী নাজিম উদ্দিন মাস্টার পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৬৭৩ ভোট।

নওগাঁ: সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ৯০ হাজার ৮৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পারভীন আকতার পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৪৫ ভোট।

এদিকে, বদলগাছী উপজেলায় বিএনপির মোস্তফা অলি আহমেদ রুমি চৌধুরী ৪৮ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সামসুল আলম পেয়েছেন ২০ হাজার ৬১৫ ভোট।

এছাড়া পত্মীতলা উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ৫৭ হাজার ৯৮ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুল গাফফার পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৯২৯ ভোট।

অন্যদিকে, আত্রাই উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবাদুর রহমান ৪১ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত রেজাউল ইসলাম পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭০১ ভোট।

অরদিকে, সাপাহার উপজেলায় আওয়ামী লীগের শামসুল আলম শাহ চৌধুরী ৩৭ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুন নূর পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮১২ ভোট।

নিয়ামতপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব এনামুল হক ৬০ হাজার ৯১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম বিএনপি  সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব ছদরুল আমিন চৌধুরী পেয়েছেন ৫৬ হাজার ২০১ ভোট।

ঠাকুরগাঁও: রাণীশংকৈল উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আইনুল হক মাস্টার ৪৪ হাজার ২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহরিয়ার আজম মুন্না পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৪৭ ভোট।

এদিকে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত সফিকুল ইসলাম (আনারস) ৫০ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবু হায়াত নুরুন্নবী (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪২ হাজার ১২৪ ভোট।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণের তফসিল হলেও কক্সবাজারের মহেশখালী ও চাঁদপুরের হাইমচরে বচৃহস্পতিবার ভোট হয়নি।

এছাড়াও কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করায় বরিশাল সদর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও নোয়াথালী সদরের ফল ঘোষণা হয়নি।

এর আগে প্রথম ধাপে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ৯৭ উপজেলায় ভোট হয়। ওই নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হওয়ায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়নি।

প্রথম ধাপে ৯৬ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত ৪৩, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৫, জামায়াত সমর্থিত ১২ এবং অন্যান্য ছয়জন বিজয়ী হয়েছিলেন।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.