বাম দলের পদযাত্রায় তৃণমূলের হামলার অভিযোগ
আগামী বছর অনুষ্ঠেয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন বাম দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে পদযাত্রা বা মিছিল শুরু করেছে। রাজ্যে সন্ত্রাস রোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ১৪ নভেম্বর থেকে বাম দলসহ ১১৩টি গণসংগঠনের ডাকে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ১৬ দিনের এই কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
বাম দলগুলো থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শাসক তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের কর্মসূচি ঠেকাতে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল ও পদযাত্রার ওপর হামলা শুরু করেছে। বেশ কয়েকজন নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। সিপিএমের কার্যালয় ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, হুগলি, বর্ধমানসহ কলকাতায় হামলা চালানো হয়েছে।
বাম দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বেঙ্গল প্ল্যাটফর্ম অব ম্যাস অর্গানাইজেশন’-এর ব্যানারে এই মিছিল বা পদযাত্রা চলবে রাজ্যের ৬৪ হাজার ২২২টি বুথ বা ভোটকেন্দ্রে। আয়োজন করা হয়েছে ১১ হাজার ২৬৯টি পদযাত্রার। জনসভা, পথসভা অনুষ্ঠিত হবে ১১ হাজার ৩১৩টি।
গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে মিছিলে হামলা চালিয়ে হেনস্তা করা হয় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এবং বিরোধীদলীয় নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে। শনিবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে মিছিল করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন সিপিএমের সাবেক সাংসদ রামচন্দ্র ডোম এবং বিধায়ক ধীরেন লেট। রোববার বামদের মিছিলে হামলা হয় হুগলির তারকেশ্বরে। সিপিএম অফিসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন বর্ধমানের জামুরিয়ায় হেনস্তা করা হয় সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খানকে।
অবশ্য এই হামলার কথা অস্বীকার করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সন্ত্রাসের পুরোনো দিনকে ফিরিয়ে আনতে দেওয়া হবে না এই রাজ্যে। ৩৪ বছর ধরে বাংলার মানুষ এদের দেখেছে এবং চিনেছে।