বাজেট অবশ্যই জনতুষ্টির : অর্থমন্ত্রী

জুন ১০, ২০১৩
images (2)ঢাকা জার্নাল: সম্পুরক বাজেট পাসের আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেটের সমালোচনার জবাবে বলেন, “অনেকেই বলছেন আমাদের বাজেট উচ্চাভিলাসী, আবার অনেকে বলছেন জনতুষ্টিমূলক। আমি বলবো, আমার প্রত্যেকটি বাজেটই ছিলো উচ্চাভিলাসী। আর বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে তা উচ্চাভিলাসী ছিলো না। তবে অবশ্যই জনতুষ্টিমূলক।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “অনেকেই না বুঝে বাজেটের সমালোচনা করেছেন, কেউ কেউ বলেছেন আমাদের সমষ্টিক ব্যবস্থাপনা ভয়ংকর দূর্বল। কিন্তু আমি বলবো তারা বিষয়টি বোঝেন না। কারণ ব্যবস্থাপনা ভালো থাকার কারণেই দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে।”
বাজেটে ভূর্তকি কমানো হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “ভূর্তকি কমানো হলেও কৃষি মন্ত্রণালয় যখনই চেয়েছে আমরা দু’হাত বাড়িয়ে সহযোগিতা করেছি। কারণ আমরা চাই দেশের উন্নয়ন। আমাদের নীতি ও কৌশল কৃষির উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জন।”
মুহিত বলেন, “কৃষি একটি ব্যক্তি মালিকানা খাত। এই খাতে প্রণোদনামূলক ভূতর্কির আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। যে কারণে এখন আর পেঁয়াজ, আদা ও রসুন আমদানি করতে হয় না। আগামীতে ডালও আমদানির প্রয়োজন হবে না।”
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ছাটাই প্রস্তাব উত্থাপন ও তা নিয়ে আলোচনা হয়। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ছাটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, লুৎফর রহমান, জয়নাল আবেদীন, ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আবুল খায়ের ভূইয়া, হারুনুর রশীদ, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, রেহানা আক্তার রানু, নিলুফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. ফজলুল আজিম। তাদের প্রস্তাগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৩
ঢাকা জার্নাল, জুন ১০, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.