বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মার্চ ৭, ২০১৪ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে তিনি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, ওবায়দুল কাদের, তোফায়েল আহমেদসহ আওয়ামী লীগের অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানোর পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তত্কালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো মানুষের সামনে স্বাধীনতার ডাক দেন। তাঁর সেই বজ্রকণ্ঠ আজও বাঙালির রক্ত শানিত করে। সেদিন ‘বীর বাঙালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’ স্লোগানে স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ জাতি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিচ্ছেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত চারদিক, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা।’
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৭ মার্চের ভাষণই একমাত্র প্রাণশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণেই মূলত মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন। তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই ভাষণেই বঙ্গবন্ধু যার যা আছে তা-ই নিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর সেই আহ্বানেই মূলত বেগবান হয় আন্দোলন, যারই ধারাবাহিকতায় অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের সেই ভাষণ এখনো উজ্জীবিত রাখে বাঙালিকে।