পৃথিবী টিকবে আর পৌঁনে ২শ’ কোটি বছর!

সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৩

earth20130919201804ঢাকা জার্নাল: পৃথিবী ধ্বংস নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। অনেকে নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবী ধ্বংসের আলামত দেখতে পাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী কমপক্ষে পৌঁনে দুইশ বছর টিকবে। আর বেশি হলে টিকতে পারে সাড়ে ৩শ কোটি বছরের বেশি সময়।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, এরপর থেকে সূর্যের তাপ এতো উত্তপ্ত হবে যে পৃথিবীতে কোনো কিছুই টিকে থাকতে পারবে না।

সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত সূর্য থেকে প্রাণীর বসবাসের উপযোগী দূরত্বে আছে পৃথিবী। ‘গোল্ডিলক’ জোনো অবস্থান হওয়ার কারণে পৃথিবীর সমুদ্রের পানি সিদ্ধ হওয়ার মতো উত্তপ্ত হয় না, আবার স্থায়ীভাবে বরফ হয়ে যাওয়ার মতো ঠাণ্ডাও হয় না।

কিন্তু এখন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সূর্য। দিন যতই যাচ্ছে সূর্য ততই উত্তপ্ত হচ্ছে। সূর্যের নিকটবর্তী কোনো গ্রহতে পানি ছাড়া কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকা সম্ভব হবে না। কিন্তু সূর্য আর পৃথিবীর দূরত্ব যথারীতি একই থাকবে, এক সময় পৃথিবী হয়ে যাবে বসবাসের অযোগ্য।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার বিশেষজ্ঞরা এ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তাদের ধারণা, সৃষ্টির শুরু থেকে পৃথিবী টিকতে পারে ৬৩০ কোটি বছর থেকে ৭৮০ কোটি বছর। প্রায় ৪৫৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি। এর অর্থ হচ্ছে পৃথিবী টিকবে ১৭৫ কোটি বছর থেকে সাড়ে ৩০০ কোটি বছর।

ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার গবেষক অ্যান্ড্রু রুশবে বলছেন, ওই সময় সূর্যের উত্তপ্ত জোনের মধ্যে থাকবে পৃথিবী, তাপমাত্রা এতো বাড়বে যে সমুদ্রের পানি বাষ্পীভূত হবে। আমরা সমস্ত জীবের সর্বনাশা ও চরম বিলুপ্তি দেখব।

পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রথম প্রাণীর তালিকায় থাকবে মানুষ। মানুষের বিলুপ্তির জন্য ১৭৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে, এর আগ থেকেই মানুষের বিলুপ্তি শুরু হবে।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.