নির্যাতনে মিতা নূরের মৃত্যু!
ঢাকা জার্নাল: স্বামী শাহানূর রহমান রানার অত্যাচার ও নির্যাতনেই অভিনেত্রী মিতা নূরের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “স্বামী শাহনূরের সঙ্গে মিতার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর আগে তাকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। স্বামীর অত্যাচার, নির্যাতনেই এ ঘটনা ঘটেছে।”
তবে মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যা করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসা থেকে অভিনেত্রী মিতা নূরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গুলশান-২ এর বাসা থেকে তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে, গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সোমবার সকাল সাতটায় খবর পেয়ে গুলশান-২ এ অবস্থিত ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের ‘প্রাসাদ লেকভ্যালি’ অ্যাপার্টমেন্টের ছয়তলার বাসা থেকে মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।
ঘটনাস্থলে গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) লুৎফুল কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়েছেন।
মিতা নূরের মৃত্যুর খবরে ছুটে আসেন অভিনেত্রী তারানা হালিম, এমপিসহ নাট্যাঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
মিতা নূর ও শাহানূর রহমান রানার দুই ছেলে- সাদমান নূর প্রিয় ও শেহজাদ নূর পৃথী।
এদিকে, ঘটনার বিষয়ে মিতা নূর পরিবারের গাড়ির চালক সবুজ জানান, মিতা নূর রোববার বাড়ি থেকে কোথাও বের হননি। এর আগে শনিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাসাবো এলাকায় গিয়েছিলেন।
ওইদিন তিনি মোবাইলে ফোনে স্যারের (স্বামী শাহনূর) সঙ্গে উচ্চৈ:স্বরে রাগারাগি করেন। পরে অন্যদের সঙ্গেও তিনি খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর বিকেলে পুলিশের একটি ভ্যান নিকেতন অফিসে ম্যাডামের কাছে আসে।
তবে কী কারণে পুলিশ অফিসে এসেছিল, সেটা তার জানা নেই বলে জানান গাড়িচালক সবুজ।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ০১, ২০১৩