নির্বাচন বন্ধে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পরিকল্পনা জামায়াতের
ডিসেম্বর ৪, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বন্ধ করতে জামায়াত-শিবির ক্যাডররা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপসনালয় ও বসতবাড়িতে হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা করে সর্বোচ্চ গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
পাশপাশি স্বার্থনেষী মহল ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করেও মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং রাষ্ট্রীয় গোপন দলিল প্রকাশ করতে পারে। আর দেশজুড়ে অরাজকতার পরিকল্পনায় রাষ্ট্রীয় গোপন দলিল প্রকাশ করে বিভান্তি ছড়ানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এসব বিষয় মোকাবিলায় দেশজুড়ে সর্বোচ্চ গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়টি মোকাবিলার পাশপাশি সরকারি স্থাপনা রক্ষা, রেল ও লঞ্চে নাশকতা ঠেকাতে কঠোর নিরপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হযেছে আইন-শৃঙখলা বাহিনীকে।
নির্বাচনকালীন সরকারের সময় গঠন করা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বুধবারের প্রথম বৈঠকে শিবিরের পরিকল্পনা ও নাশকতার চিত্র উঠে আসে।
নির্বচন সংক্রান্ত স্বার্থন্বেষী মহলের মাধ্যমে অপপ্রচার ও দেশজুড়ে নাশকতার আশঙ্কা করে বলা হয়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে উন্মাদনা ছড়িয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতিও নষ্ট করা হতে পারে।
বৈঠকে বলা হয়, জামায়াত শিবির ক্যাডাররা সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বসতবাড়িতে আক্রমণ এবং সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে। এতবে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে স্বার্থনেষী মহল মিথ্যা তথ্য প্রচার এবং রাষ্ট্রীয় গোপন দলিল প্রকাশের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় বলা হয়, রেলের স্লিপার ও ফিটনেসসহ রেললাইন উৎপাটন ও অগ্নিসংযোগ রেল স্টেশন, রেলওয়ে বগি ভাঙচুর বেইলী ব্রিজ ও কালভার্ট ধ্বংস লঞ্চ-স্টিমার ধ্বংস করতে পারে।
এ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠনের জন্যে দেশবাপী গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধিরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভা থেকে।
কয়েক ঘণ্টা প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা ব্যাপী চলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সভঅপত্বি করেন ভূমি এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বৈঠকে ছিলেন, শিল্প এবং গৃহয়ান ও পূর্তমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, পাট ও বস্ত্র এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী, রেল ও ধর্মমন্ত্রী মুজিবুল হক, ডাক ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ৪, ২০১৩।