নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১৫
ঢাকা জার্নাল: হরতাল চলাকালে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় সবমিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে খোকন নামের একজনকে শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের অন্তত ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
জানা গেছে, হরতাল সমর্থনে সকাল ৬টায় শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, মহানগর যুবদল আহ্বায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, বিএনপি নেতা সুরজ্জামান এর নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে শহরের ২নং রেল গেটের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি নেতারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
সকাল সাড়ে ৬টায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে শহরের কালীরবাজার এলাকায় সড়কে টায়ারে আগুন ও ২টি যানবাহন ভাঙচুর করে।
সকাল ৭টায় মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের একটি মিছিল বের হয় শহরের ‘গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক মোড়’ হতে। মিছিলটি চাষাঢ়ার দিকে আসার সময়ে গলাচিপা মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ পরে বিএনপি নেতাদের লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বেশকয়েকজন পিকেটার গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে খোকন নামের একজনকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অন্যদের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
তবে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক খোরশেদ দাবি করেন তাদের কর্মী ফারুক, মানিক, জীবন, আউয়াল, শহীদ, আফতাব গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে সকাল সাড়ে ৭টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহ্বায়ক রশিদুর রহমান রশো, শাহেদ আহম্মেদ, শেখ অপু নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা-আদমজী সড়কের হাজীগঞ্জ ‘এম সার্কেস’ এলাকায় মিছিল বের করে। পরে তারা সড়কে টায়ারে আগুন ও ৩-৪টি যানবাহন ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ আসলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
একই সময়ে শহরের গুলশান সিনেমা হল মোড় থেকে জেলা মহিলা দল সভানেত্রী নুরুন্নাহার এর নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি এস এম মঞ্জুর কাদের বাংলানিউজকে জানান, বিএনপির পিকেটাররা জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে পিকেটিং করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তবে ৬জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে হরতালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০২, ২০১৩