দারুল ইহসান: রাষ্ট্রপতিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ
ঢাকা জার্নাল: অনিয়ম-দূর্নীতি ও সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি বা আচার্যকে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করার অনুরোধ করেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩৪তম বৈঠকে এ অনুরোধ জানানো হয়।
আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগ, এমনকি অবৈধ ক্যম্পাস বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত নিতে পরবেন।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যাপারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আচার্যের ক্ষমতা প্রেেয়াগ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বৈঠকে মালিকানা সঙ্কট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও আউটার ক্যাম্পাসের মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যেসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে সভাপত্বি করেন কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সদস্য হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, হুইপ মির্জা আজম, বীরেন শিকদার, মু: জিয়াউর রহমান এবং আলহাজ্ব মমতাজ বেগম অংশ নেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকসহ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক।
বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে পাবনা-০৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. মকবুল হোসেন বৈঠকে যোগদান করেন।
বৈঠকের পর সংসদীয় কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩৫ (৭) ধারায় আচার্যের ক্ষমতার ব্যাপারে বলা বলা হয়েছে। আচর্যর্য বা রাষ্ট্রপতির কাছে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।”
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩৫ (৭) ধারায় বলা হয়েছে “কোন কারণে কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা দেখা দিলে কিংবা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা র্কাযক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে চ্যন্সেলর কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়রের সুপারশিক্রমে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ দিতে পারবেন এবং এ বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।”
রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে। মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে কমিটি আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্ববিদ্যালয মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, “যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে চাকরি করছেন, তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদ নিতে বলা হয়েছে কমিটির সভা থেকে।”
মালিকানা সঙ্কট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও আউটার ক্যাম্পাসের মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগে ২০১০ সালের অক্টোবরে অবরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল হককে প্রধান করে এক সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়।
গত বছরের মার্চ মাসে বিচার ওই কমিটি একটি তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে জমা দেয় কমিটি। বিভিন্ন অনিয়মের প্রমান পাওয়ায় দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি বন্ধের সুপারিশ করা হয় কমিটির প্রতিবেদনে।
ঢাকা জার্নাল, মে ২৬, ২০১৩