তুরস্কের নির্বাচনে একে পার্টির বড় বিজয়
নভেম্বর ২, ২০১৫ তুরস্কের নির্বাচনে আবারো ব্যাপক ভোটে জয় লাভ করেছে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল একে পার্টি।
কিন্তু সেই নির্বাচনের সকল আশঙ্কাকে মিথ্যে করে দিয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন নিয়ে জয় পেয়েছে একে পি। তবে, নির্বাচনী ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে এখনো আরো ক’দিন অপেক্ষা করতে হবে।
গত জুনে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে যে আধিপত্য হারিয়েছিল জাস্টিস এন্ড ডেপেলাপমেন্ট পার্টি বা একে পি, এই নির্বাচনে তা আবারো ফিরে পেয়েছে দলটি।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাডোলু জানিয়েছে, প্রায় সব ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং একে পি পার্টি সর্বোচ্চ ৪৯.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর আসন সংখ্যা পেয়েছে মোট ৩১৬টি।
![](https://ichef-1.bbci.co.uk/news/ws/624/amz/worldservice/live/assets/images/2015/11/02/151102023929_sp_turkey_elections_640x360_ap_nocredit.jpg)
এককভাবে সরকার গঠন করার জন্য একে পি পার্টির প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৭৬টি আসন।
আর একে পি পার্টির সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পার্টি রিপাবলিকান পিপলস পার্টি বা সিএইচপি পেয়েছে ২৫.৪ শতাংশ ভোট। আসন সংখ্যার দিক থেকে যা মাত্র ১৩৪টি আসন।
একে পার্টিকে কেন আবারো আস্থায় নিয়ে ভোট দিল মানুষজন? এর কারণগুলো কী?এমন প্রশ্নের উত্তরে একে পার্টির এমপি রাভজা কাভাকচি বলেছেন, তুরস্ক বদলে গেছে।
রাভজা কাভাকচি এখানে বলছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান-এর সময়ে তুরস্ক এমনই পাল্টে গেছে যে, আমরা এখন এমন সব ইস্যু যেমন- ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলি যা কখনোই সম্ভব হতো না।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই তুরস্কে চলছে সহিংসতা, হামলা, পাল্টা হামলা।সহিংসতা ও বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ আবার একে পি’র উপরেই আস্থা রেখেছে।
![](https://ichef.bbci.co.uk/news/ws/624/amz/worldservice/live/assets/images/2015/11/02/151102024620_sp_turekey_elections_prime_minister_ahmet_davutoglu_640x360_reuters_nocredit.jpg)
জুনের নির্বাচনের পর থেকেই টার্কিশ আর্মি ও কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে-এর মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, একে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান যিনি এখন তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট, তিনি তুরস্কে সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছিলেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এইচডিপি’র পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের জন্য।
জুনের নির্বাচনের পর, এইচডিপি-কে একে পার্টি সরকার গঠনের কথা ভেবে কোয়ালিশন হিসেবে নিয়েছিল।