‘তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে চুদুর-বুদুর চলতো ন’

জুন ৯, ২০১৩
image_15163_0ঢাকা জার্নাল: বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু নিবাচন নিয়ে সরকারকে হুঁসিয়ার করে দিয়ে বলেছেন ‘তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে চুদুর-বুদুর চলতনয়’।
রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আঞ্চলিক ভাষায় তিনি এ কথা বলেন।
রানু সরকারের উদ্দেশে স্পিকারকে বলেন, আপনার কাছে আমার জিঞ্জাসা দেশ কোন দিকে যাচ্ছে? আপনি এই সংসদের অভিভাবক, আগামী নিবাচন যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়। সেই নির্বাচনে যেন সব দল অংশ নিতে পারে এবং কেউ যেন গায়ের জোরে এক দলীয় নির্বাচন করতে না পারে, এ ব্যপারে আপনার কার্যকর ভূমিকা আশা করছি।”
নির্বাচন নিয়ে রানু বলেন, “কেউ বলছে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কালীন সরকারের প্রধান বানানো হবে। আমি আমার নেয়াখারীর ভাষায় বলতে চাই, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে চুদুর-বুদুর চলতোন’। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে, হতে হবে। নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোন র্বিাচন হবে না।”
ড. ইউনুসের প্রসঙ্গ তুলে রানু আরো বলেন, “নোবেল পুরস্কার পাওয়ার অপরাধে ড. ইউনুসকে গ্রমীণ ব্যাংক থেকে সরে যেতে হয়েছে। চুরি আর দুর্নীতিতে যদি নোবেল পুরস্কার দেওয়ার বিধান থাকতো, তাহলে এই সরকারের মন্ত্রীরা সবচেয়ে বেশি নোবেল পুরস্কার পেতো। এই দুর্নীতি দেখে একবার অর্থমন্ত্রী বলেিেছলেন, আমি বেরিয়ে যেতে চাই।”
সেই অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিয়েছেন, তা ছলনাময়ী নারীর মত।  সুন্দর সুন্দর কথা, সুন্দর সুন্দর প্রস্তাব। সবই ছলনা, ধোকাবাজি। পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাচ্চাদের টিফিনের টাকা নেওয়া হল এবং সেই চাঁদা নিয়ে রাজশাহীতে একজন খুন হল। পদ্মা সেতু শুরু করার আগেই ১২ শতাংশ কমিশন নেওয়ার কথা ফাঁস হওয়ার সাথে সাথে বিশ্ব্যাংক তার উৃণ চুক্তি ঘেচাং করেছে। এই ১২ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ যারা নিয়েছে তাদের কথা পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। আর দুই শতাংশের সাথে যারা জগিত তাদের নাম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। সম্পতি কানাডিয়ান টেলিভিশনের অনসন্ধানী রিপোর্টে ওই দুই শতাংশ লেনদেনের সাথে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের জগিত থাকার কথা বলা হয়েছে।”
এই দুর্নীতির সাথে কারা জড়িত আমরা জানতে চাই বলেও উল্লেখ করেন রানু।
রানুর বক্তব্যের জবাবে হুইপ আ.স.ম ফিরোজ বিরোধীতা করে তার বক্তব্যের অসংদীয় শব্দ এক্সপাঞ্জ করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “সংসদ সদস্য রানু কিছু ভাষা বলেছেন, তা নিষিদ্ধ পল্লীতে ব্যবহার করা হয়, এই রকম ভাষা যেন বাদ দেওয়া হয়।”
এ সময় স্পিকার রুলিং দিয়ে বলেন, “আমি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো যদি অসংসদীয় হয়, তাহলে বাতিল করা হবে।”
স্পিকার সকল সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “৩০৭ বিধিতে দৃষ্টি আকর্ষণে পালনয়ি বিধি। এই বিধির উপবিধি (১ থেকে ৯) মেনে বাজেটের ওপর বক্তব্য দিতে হবে। কেউ আক্রমণাত্মক, অসৌজন্যমূলক কথা বলবেন না, অসৌজন্যমূলক কথা বলতে দেওয়া হবে না।”
ঢাকা জার্নাল, জুন ৯, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.