ডিএনএ পরীক্ষায়ও ঐশীর ‘সম্পৃক্ততা’

ঢাকা জার্নাল: এসবি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের হত্যাকাণ্ডস্থলে পাওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষায়ও তাদের মেয়ে ঐশী রহমানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত অগাস্টে সংঘটিত এই হত্যাকাণ্ডে সদ্য কৈশরোত্তীর্ণ ঐশীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, সে একাই তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে।

জবানবন্দিতে এই স্বীকারোক্তি মিলেছে বলে পুলিশ জানানোর পর ঐশী ওই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেন, তাকে ওই স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

এরপর ঐশীর কাছে পাওয়া গহনা ও ঐশীর ফেলে যাওয়া পোশাক থেকে নমুনা নিয়ে হত্যাকাণ্ডস্থলে পাওয়া নমুনার সঙ্গে তার মিল রয়েছে কি না, তা অনুসন্ধানে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠায় পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বুধবার বলেন, “ঐশীর রক্তমাখা পোশাকে ও গহনায় নিহত মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না বেগমের ডিএনএ পাওয়া গেছে।”

ত্যাকাণ্ডের পর ঐশীর ফেলে যাওয়া রক্তমাখা পোশাক পাওয়া গিয়েছিল তাদের চামেলীবাগের ফ্ল্যাটে। ঐশীকে আটকের সময় পাওয়া যায় গহনা, যা বাড়ি থেকে সে সরিয়েছিল বলে পুলিশ জানায়।

ঐশী ও তার নিহত মা-বাবার ডিএনএ ছাড়া আর কোনো ব্যক্তির ডিএনএ কোনো আলামতে পাওয়া যায়নি বলে জানান মাসুদুর রহমান।

ঐশী একাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে দাবি করে এলেও তার দুই বন্ধু জনি ও রনিকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ।

ডিএনএ পরীক্ষায় আর কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ না মেলায় রনি ও জনি কতটুকু অপরাধী- জানতে চাইলে মাসুদুর রহমান বলেন, “তারা প্ররোচনাকারী ও আশ্রয় দাতা হিসেবে হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত।”

হত্যাকাণ্ডের পর ঐশীদের বাড়ির শিশু গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তার ডিএনএ কোনো আলামতে পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান।

গত ১৬ অগাস্ট সন্ধ্যায় মাহফুজ ও স্বপ্নার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।