টিকফা’র খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
জুন ১৭, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়য়োগের ক্ষেত্রে নিয়মিত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি ও মত পার্থক্য দূর করার লক্ষে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম এগ্রিমেন্টস (টিকফা) খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এই ফোরামের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে নিয়মিত আলোচনা সুযোগ সৃষ্টি হবে। যুক্তরাষ্টের একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ সংকুচিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “যুক্তরাষ্টের সঙ্গে বিনোয়াগ বাণিজ্য সম্পর্ক ফোরামের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “টিকফা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়েছে ২০০২ সালে। তবে ১৯৯২ সাল থেকে টিকফা নিয়ে আলোচনা চলছে। গত সরকারের আগের মেয়াদে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
বিভিন্ন কারণে এটি বিলম্বিত হয়েছে উল্লেখ করে সচিব জানান, এগ্রিমেন্টের ক্ষেত্রে শব্দের তাৎপর্য কি রয়েছে, কার পক্ষে যাবে কার বিপক্ষে যাবে, কোনটা বাস্তবায়ন করা যাবে কোনটা বাস্তবায়ন করা যাবে না এ সমস্ত কারণে বিলম্বিত হয়েছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, “সে সমস্ত দেশ এইটা স্বাক্ষর করেছে, তারা সময় নিয়ে সাক্ষর করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক অধিকার বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিচাচক প্রভাব ফেলবে।
দ্বি-পাক্ষিক ফোরাম করা হয়েছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কে আলোচনার জন্য বছরে একবার বৈঠক হবে।
টিকফা উপস্থানায় ১৬টি অনুচ্ছেদ ও ৭টি অর্টিকেল রয়েছে। উপস্থনায় বলা আছে উভয় পক্ষ সেটাকে গ্রহণ করবে।
এটি নেগোসিয়েট করবে আমাদের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে করবে তাদের আন্তর্জাতিক দেখাশুনার প্রতিষ্ঠান ইউএসটিআর।
এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য, অর্থ, বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর ইকোনমিক অ্যাডভাইজার ও পররাষ্ট মন্ত্রণালয় শক্তিশালী কোর কমিটির মাধ্যমে প্রাথমিক নোগোসিয়েশন করা হয়েছিল। কমিটি কয়েকটি বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছিল।”
ফাইটিং এগেইনেস্ট করাপশন নিয়ে কোন আলোচনা সুযোগ নেই। কিন্তু কিভাবে এ বিষয়টি চুক্তিতে প্রতিফলিত হবে সেটি নিয়ে দু’পক্ষই আলোচনা করেছে।
শ্রম অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক অধিকার কিভাবে আইএলও কনভেনশন মেনে সহায়ক হবে, তার ভাষা কি হবে, তা নিয়ে নেগোসিয়েট হয়েঠে ঐক্যমতো পৌঁছেছে।
সংরক্ষণশীল বাণিজ্যের গুরুত্বে উল্লেখ করে সচিব বলেন, “মেধাস্বত্ত্ব কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে, মেধা সংরক্ষণ স্বত্ত্ব বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে তা নিয়ে নেগোসিয়েট হয়েছে।” কিভাবে এটি বাস্তাবয়ন করা হবে তার জন্য ফোরাম করা হয়েছে, যোগ করেন সচিব।
আমরা মেধাস্বত্ব সংস্ত্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন-ট্রিপস’র অংশিদার। মেধা সংরক্ষণ স্বত্ত্ব কিভাবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে প্রভাবিত করবে তা নিয়ে দু-পক্ষই ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে।
সচিব বলেন, “টিকফা চুক্তি নিজ নিজ দেশের আইন, প্র্যাকটিস, ও আচরণ মেনে চলবে।”
সচিব জানান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক’র বোর্ড অব গভর্নরস’র ৪৬তম সভায় বাংলাদেশ দলের অংশ গ্রহণ, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’র বোর্ড অব গভর্নরস’র ৩৮তম সভায় বাংলাদেশ দলের অংশ গ্রহণ এবং ‘এনভায়র্নমেন্টাল-ডেভেলপমেন্ট রিলেশনসীপ ইন দ্যা কনটেক্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক মান্ত্রসভায় অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়া শুন্য পদে নার্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রি সভা।
ঢাকা জার্নাল, জুন ১৭, ২০১৩