‘টকশোতে বড় কথা না বলে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করুন’

এপ্রিল ২৫, ২০১৩

0,,15488681_4,00ঢাকা জার্নাল: সাভারের ভবন ধসের ঘটনায় উদ্ধার কাজে সবার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, টকশোতে বড় বড় কথা না বলে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করুন। অন্তত একটি মানুষকে উদ্ধার করে প্রমাণ করুন আপনারাও উদ্ধার কাজে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে দেওয়া এক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস
ভবন গণভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ কাজে সবার সহযোগিতা দরকার। সবচেয়ে কষ্টদায়ক হচ্ছে শ্রমিকরা সেখানে চাপা পড়ে আছে। কিন্তু কোনো কোনো শ্রমিক নেতা সেখানে উদ্ধারকাজে না থেকে টকশো নিয়ে ব্যস্ত। কেউ কেউ দোষীদের এখনই ‘ধরো আর মারো’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এসব বাদ দিয়ে সেখানে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নিন। বড় বড় কথা না বলে সেখানে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নিলে, উদ্ধার কাজ দেখলে বুঝতে পারবেন কেন দেরি হচ্ছে।

ভবন ধসের উদ্ধারকাজকে সময়সাপেক্ষ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভবনের নিচে আলো, বাতাস ও অক্সিজেন নেই।”

উদ্ধার কাজে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, “স্ল্যাব কোনটা কাটলে কোনটা পড়ে যায়, হিসেব করে কাজ করতে হচ্ছে। এমন একটি অবস্থা যে একটি স্ল্যাব সরাতে গেলে আরেকটি স্ল্যাব পড়ে যারা জীবিত আছেন, তারাও মারা যেতে পারেন। জীবিতদের জীবিত উদ্ধার করাই আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কারও কারও হাত-পা চাপা পড়ে আছে। তারা বলছেন, হাত-পা কেটে হলেও তাদের উদ্ধার করতে। কিন্তু এজন্যও একটি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন আছে। হাত-পা কাটলে প্রচুর রক্তক্ষরণও হবে। সেজন্য মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অনেক দিক বিবেচনা করে কাজ করছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “উদ্ধারকাজ অব্যাহত আছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো বলেই ভবন ধসের মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় উদ্ধার কাজ শুরু করা গেছে। দেড় হাজার জীবিত ও ১৫৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ ধরনের ঘটনায় এত দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয় না।”

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “যত্রতত্র ও খাল-বিল-ডোবা ভরাট করে ভবন নির্মাণ করার প্রবণতা বাড়ছে। ঢাকা মহানগরীর ৯০ শতাংশ ভবনই বিল্ডিং কোড না মেনেই নির্মাণ করা হয়েছে। যারা সমালোচনা করেন, ভবন নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের ভবনগুলো কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেটাও দেখা দরকার। হিসেব করলে দেখা যাবে, তারাও ভবন নির্মাণের সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যাওয়ার রাস্তা রাখেন নি। বড় কোনো ভূমিকম্প হলে ঢাকা নগরীতে উদ্ধার করার মতো লোকও থাকবে না।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.