জামিন পেলেন ‘অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চার স্বেচ্ছাসেবী
একমাসেরও বেশি সময় আটক থাকার পর অবশেষে জামিন পেয়েছেন অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র চার স্বেচ্ছাসেবী। মানব পাচারের এক মামলায় গেল মাসে তাদের রাজধানীর রামপুরা থেকে আটক করে পুলিশ।
সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালতে তাদের জামিন আবেদন করা হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসূফ হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন- আরিফুর রহমান, হাসিবুল হাসান সবুজ, জাকিয়া সুলতানা ও ফিরোজ আলম খান শুভ।
এর আগে এই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও জেলা দায়রা জজ আদালতে তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়।
এই চার স্বেচ্ছাসেবীকে আটকের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তোলপাড়। মজার স্কুলের নিবন্ধনের কাগজসহ পেজ খুলে দাবি করা হয় ‘আরিয়ান আরিফ জাকিয়ারা শিশু পাচারকারী নয়।’ পেজের এডমিনের বক্তব্য, কোথাও ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিনীত অনুরোধ আপনারা সঠিকভাবে জেনে তারপর তাদের বিচার করুন।
এর আগে তাদের কাজের সঙ্গে পরিচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট আশীফ এন্তাজ রবি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা স্ট্যাটাসে তাকে বিষয়টি দেখার আকুল আবেদন জানালে সেখানে মুখ্য প্রেস সচিব ও উপ প্রেস সচিব যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘আমরা নিরূপায় হয়ে ফেসবুককে বেছে নিয়েছিলাম। অদম্য বাংলাদেশের ৪ তরুণ আজ এক মাসের ওপর কারাবন্দি।
আমাদের ক্ষোভ, দুঃখ আর বঞ্চনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলাম।
আশার কথা হলো, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব জনাব আবুল কালাম আজাদ সেই স্ট্যাটাসে কমেন্ট করে আমাদের দেখা করার আমন্ত্রণ জানান। উনার শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ধৈর্য সহকারে আমাদের কথা শুনেছেন, আমাদের ব্যাপারে যথা সম্ভব খোঁজ খবরও নিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উপ প্রেস সচিব জনাব আশরাফুল আলম খোকনও দারুণ সহযোগিতা করেছেন। তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই।’
প্রসঙ্গত, গেল ১৩ সেপ্টেম্বর মোবারক নামে এক শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে রামপুরা বনশ্রীর সি-ব্লকের ১০ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় এই চার স্বেচ্ছাসেবককে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় দশ শিশুকে।
সেসময় উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো মোবারক হোসেন (১৪), আবদুল্লাহ আল মামুন (১১), বাবলু (১০), আব্বাস (১০), স্বপন (১১), আকাশ (৯), মান্না ইব্রাহিম আলী (১০), রাসেল (১৪), রফিক (১৪) ও ফরহাদ (১৪)। তবে এদরে মধ্যে মোবারক ছাড়া বাকি শিশুরা উদ্দার হওয়ার পরও ওই ফাউন্ডেশনে ফিরে যাবার আগ্রহ দেখায় বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।