খালেদা জিয়াকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে
ডিসেম্বর ৪, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: একাত্তরের গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের মতো আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার দায়ে খালেদা জিয়াকেও আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন।
বুধবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
যারা মানুষ খুন করছে, রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলছে তাদের হাতেনাতে ধরিয়ে দিতে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, অবরোধ দিয়ে খালেদা জিয়া নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে এসি রুমে বসে গরম সুপ খান, মুরগির রোস্ট চিবান। আর বলেন আন্দোলন সফল হয়েছে। পেট্রল ঢেলে মানুষ মারছেন। সেই মানুষগুলো যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আর তিনি তা দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন।
তিনি বলেন, রাজনীতির প্রতি মানুষের আস্থা কমানোর জন্যই মনে হয় তারা এ কাজগুলো করছে। রাজনীতি ও আন্দোলন কর্মসূচি ওসামা বিন লাদেনের মত ভিডিও টেপে ঘোষণা করছে। এরা রাজনীতিবিদ না, এরা রাজনীতিবিদ নামের কলঙ্ক। এরা খুনি।
বিএনপি-জামায়াত দুষ্টচক্রের হাত থেকে মানুষ কবে মুক্তি পাবে? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যারা সহিংসতা করছে দেশবাসীকে বলব এদের ধরিয়ে দিন। সাংবাদিকদের বলব কোনটা পুড়ছে সেটা না দেখে কে পোড়াচ্ছে তার ছবি প্রকাশ করুন।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া আর কত লাশ চান সেটা আমার প্রশ্ন। আমাকে মারার চেষ্টা করেছেন কতবার। তার ছেলের পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আইভী রহমান সহ অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
খালেদার সঙ্গে মিথ্যায় কেউ পারবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি বলেন, আমি নাকি গ্রেনেড মেরেছি। আমি কি গ্রেনেড মারায় এক্সপার্ট? উনি এক্সপার্ট হতে পারেন।
তিনি বলেন, যিনি ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করতে পারেন তিনি কত জঘন্য হতে পারেন। যে কারণে তিনি জনগণের রক্ত নিয়ে হোলি খেলছেন। তিনি লাশ চান, মানুষের প্রতি তার কোনো দরদ নেই। ক্ষমতায় নেই বলে, জনগণ ভোট দেয়নি বলে তিনি জণগনের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। আমি তাকে বলব মানুষ হত্যা করা বন্ধ করুন।
কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মতিয়া চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শওকত আলী, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, নূহ-উল আলম লেনিন, মাহবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফারুক খান, আহমদ হোসেন, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, আমিনুল ইসলাম আমিন, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ৪, ২০১৩।