‘খালেদা জিয়ার পরিণতি ভয়ানক হবে’
ঢাকা জার্নাল: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় আবার ফিরে এলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিণতি আগের বারের চেয়ে ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার গণবভবনে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে বিরোধীদলীয় নেতার পরিণতি গতবারের চেয়ে ভয়াবহ হবে।”
তিনি বলেন, “ বেগম জিয়া হেফাজতে ইসলামকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে বহু নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। জনসমর্থন এখন সরকারের পক্ষে। হুমকি-ধামকি দিয়ে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।”
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একইভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অধীনে দেশের প্রতিটি সাফল্য অর্জিত হয়েছে।”
বিরোধীদলীয় নেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, “বেগম জিয়া কীভাবে বিশ্বাস করলেন, পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে আবার কারাগারে পাঠাবে না? সামরিক বাহিনী-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা তাদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে।”
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা সমাজের কোনো অংশকে তাদের নির্যাতন ও ভীতি প্রদর্শন থেকে রেহাই দেয়নি।”
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তার ওপর গ্রেনেড হামলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বেগম জিয়া তাকে হত্যা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিএনপি সব সময়ই লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কথা চিন্তা করে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় সব সময় বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী নির্বাচনের উপায় খুঁজে বের করতে তার সরকার সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে; কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা তার জবাব দিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের মাধ্যমে।”
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের আমলে তাদের এলাকায় বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় নেতাদের। দলের কেন্দ্রীয় নেতা, নেত্রকোনার সংসদ সদস্য, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।