কর্তৃপক্ষ নিরব,পেছনে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি

মে ৫, ২০১৩

রাজধানীতে কয়েক হাজার ‘রানা প্লাজা’ 

Dhaka_cityমোহাম্মদ হানিফ,ঢাকা জার্নাল: রাজধানী ঢাকাতে রানা প্লাজার মতো কয়েক হাজার ঝূঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে। তবে মানা হয়নি অনুমোদিত নকশা ও জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা।

ভবনের নকশার কাগজী অনুমোদন পর্যন্তই দায়িত্ব পালন করছে রাজউক। তদারকির কথা থাকলেও অফিসে বসেই সে কাজ সারছেন রাজউকের কতিপয় কর্মকর্তা ও অথরাইজ অফিসাররা। আর এর আড়ালে চলছে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য।

 

দুর্নীতি দমন বর্তমান মহাজোট সরকারের নির্বাচনী ইসতিহারে উল্লেখ থাকলেও বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমনে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। সরকারের উদাসিনতা ও উপর মহলের দুর্নীতির ফলে রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসার মতো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লিপ্ত রয়েছে আর্থিক দুর্নীতিতে।

 

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ি ভবনের অনুমোদন নেয়ার আগে জমির মৃত্তিকা পরীক্ষা (সয়েল টেস্ট) করাতে হয়। তাও টাকা দিলে পাওয়া যায়। মৃত্তিকা পরীক্ষার পর নির্ধারণ করা হয় ভবনের উচ্চতা ও নির্মাণ কৌশল। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ রয়েছে টাকা হলে ঘরে বসেই মৃত্তিকা পরীক্ষার রিপোর্টসহ যাবতীয় অনুমোদনপত্র পাওয়া যায়।

 

অন্যদিকে রাজধানীতে মোট কতগুলো অনুমোদনহীন ও ঝূঁকিপূর্ণ ভবন আছে তার তালিকাও নেই রাজউকের কাছে। ছয় হাজার অনুমোদনহীন ভবনের কথা বলা হলেও তার সঠিক কোন তথ্য উপাত্ত দেখাতে পারছে না কর্তৃপক্ষটি। তবে শুধুমাত্র ঝূঁকিপূর্ণ ভবনের দুটি তালিকা রয়েছে ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছে। শুধুমাত্র রাজধানীর শাখারিবাজার এলাকার উপর জরিপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে মোট ১৩২টি ভবনকে বসবাস ও ব্যবহারের ‍অনুপযোগী হিসাবে চিহ্নিত করে ঢাকা সিটি করপোরেশন। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশন এলাকার (বর্তমান উত্তর ও দক্ষিন) মধ্যে আরো ৫ হাজার ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তৎকালিন ঢাকা সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা ও প্রকৌশল বিভাগ। তবে এসব ভবনের অপসারণ ও উচ্ছেদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেইনি কর্তৃপক্ষটি। ভবন উচ্ছেদের দায় রাজউকের বলে দাবি করছে দুই সিটি করপোরেশন। এদিকে ঝূঁকিপূর্ণ ভবন উচ্ছেদের দায় এড়িয়ে রাজউক কর্তৃপক্ষ বলছেন, সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ি সকল প্রকার ঝূঁকিপূর্ণ ভবন উচ্ছেদের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের।

 

অন্যদিকে অভিযোগ রয়েছে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্বটুকুও পালন করছে না রাজউক। ভবনের নকশা অনুমোদন, ভবন নির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তদারকির এবং ভবন নির্মাণ শেষে তা পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভবনের ব্যবহার অনুমোদন পত্র দেয়া কথা। কিন্তু এসব কিছুই হয় অফিসে বসে। আর বিনিময়ে চলে টাকার খেলা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজউকের দায়িত্বহীনতা এবং দুর্নীতির জন্যই রাজধানীতে ঝূঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে।

 

রাজধানীর শেখেরটেক ১৪ নম্বর রোডে দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের দুটি আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে। নির্মিতব্য এই ভবনের নির্মাণ শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোন দিনই রাজউকের কোন বিশেষজ্ঞদের ভবন দুটি তদারকিতে আসতে দেখেননি তারা।

ভবন দুটির নির্মাণ দায়িত্বে থাকা ফোরম্যান আকরাম হোসেন লেখনীকে বলেন,গত দুই বছর ধরে এই ভবন দুটির কাজ চলছে। এই দুই বছরে রাজউক বা সরকারি কোন ইঞ্জিনিয়ারকে পরিদর্শনে আসতে দেখিনি।আমাদের কোম্পানির নিজস্ব প্রকৌশলীরাই সব কাজ করছেন।

এব্যাপারে আবাসন কোম্পানিটির প্রকল্প প্রকৌশলী কফিল উদ্দিন লেখনীকে বলেন, আমরা কাজ শেষে রিপোর্ট রাজউকে জমা দিলে রাজউক আমাদের ব্যবহার অনুমোদন দিয়ে থাকে। তবে কাজ তদারকির জন্য কখনো কোন ইঞ্জিনিয়ার আমাদের এখানে আসেনি।

এব্যাপারে কথা বলা হলে পরিবেশ কর্মী স্থপতি ইকবাল হাবিব লেখনীকে বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভবনের নকসা অনুমোদন দেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকেই শেষ বলে মনে করছেন রাজউক। পরবর্তীতে ওই নকসা সঠিক ভাবে অনুসরণ করা হলো কিনা, যে কয় তলার অনুমোদন আছে তার চাইতে বেশি করা হয়েছে কিনা তার তদারকির দায়িত্ব রাজউকেরই। একই সঙ্গে ইমরাত নির্মাণ কৌশল ও উপাদানের ব্যবহারও তদারকি করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষটির। কিন্তু তা করছে না। ফলে একেকটি ভবন একেকটি মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে।

রাজউকের দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে পরিবেশ আন্দোলন বাংলাদেশের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান লেখনীকে বলেন, ২০১১ সালে রাজধানীর কাঠাল বাগানে একটি নির্মাণাধিন ভবন পাশের ভবনের উপর হেলে পড়ে। ভবনটি একটি পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছিলো। যাচাই-বাছাই না করেই রাজউক ভবনটির অনুমোদন দিয়ে দিয়েছিলো। ভবনটি অনুমোদন দেয়ার আগে যদি রাজউক কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে গিয়ে দেখতো এবং নির্মানের সময় তদরকি করতো তাহলে এমন ঘটনা এড়ানো সম্ভব ছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে রাজউক সব দায় দায়িত্ব অস্বীকার করে সব দায় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের উপর চাপিয়ে দেয়। কাঠাল বাগানের মতো এমন কয়েক হাজার ভবন রাজধানীতে গড়ে উঠেছে যেগুলো রাজউকের অনুমোদন নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে তবে সঠিক নির্মাণ পদ্ধতি ও উপাদান ব্যবহার না করে। অনেক ক্ষেত্রে নকসার ব্যতয় ঘটিয়েও অনেক ভবন গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, রাজউকের চোখের সামনেই দাড়িয়ে রয়েছে বসুন্ধরা সিটির মতো বহুতল মার্কেট। যার উপরের তিন তলা পুরোটায়ই অবৈধ। কিন্তুর রাজউক এই তিন তলা অপসারণের কোন ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত নিতে পারেনি।

 

নাসের খান বলেন,রাজধানীতে নিচু, জলাধার ভরাট করে গড়ে উঠছে আবাসন প্রকল্প। আর এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে রাজউক। পক্ষান্তরে অনুমোদন দিয়ে এসব অবৈধ ও ঝূঁকিপূর্ণ প্রকল্পকে বৈধতা দিচ্ছে রাজউক।

 

অবৈধ ভবন নির্মাণে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি

রাজধানীতে অবৈধ ও ঝূঁকিপূর্ণ ভবন গড়ে উঠার পেছনে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করছেন পরিবেশবাদী ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তাদের অভিযোগ ধাপে ধাপে অর্থ বানিজ্য চলছে রাজউকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের (রিহ্যাব) নির্বাহী কমিটির এক সদস্য বলেন,ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকে কোন নকসা অনুমোদনের জন্য গেলে ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয় আমাদের। ফাইল নড়াচড়ার জন্য অফিসের তৃতীয় শ্রেণীর পিওনটিকেও টাকা দিতে হয়। তারপর নকসা আটকে দিতে না টালবাহনা করে রাজউকের প্রকৌশলীরা। তবে কাঙ্খিত অর্থ দিতে পারলেই অনায়াসে নকসার অনুমোদন পাওয়া সম্ভব।

 

রাজউকের আর্থিক দুর্নীতির কথা স্বীকার করে রিহ্যাবের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান ভূঁইয়া রানা লেখনীকে বলেন, একটা নকসা অনুমোদনে নির্ধারিত ফিসের বাইরে কোন টাকা না দেয়ার রীতি থাকলেও আমরা তা করতে পারছি না। এদিকে একটি নকসা অনুমোদন দিতে সর্বোচ্চ ৬৫ দিন সময় নেয়ার কথা থাকলেও অনুমোদন না দিয়ে বা বাতিল না করে দিনের পর দিন তা আটকে রাখে রাজউক। প্রকল্প দ্রুত শুরু করতে তাই বাধ্য হয়ে আবাসন কোম্পানিগুলো টাকা দিয়ে অনুমোদন করিয়ে আনছে।

 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জনবলের অভাব,আবাসন কোম্পানিগুলোর সততা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছে রাজউক।

এব্যাপারে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন) প্রকৌশলী শেখ আবদুল মান্নান লেখনীকে বলেন, নির্মাণাধিন ভবন তদারকি ও পরিদর্শনের জন্য মাত্র চার জন অথরাউজ অফিসার রয়েছে রাজউকের। অন্যদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পর্যাপ্ত ম্যাজিস্টেট নেই রাজউকের। ফলে দীর্ঘ দিনে জঞ্জাল পরিস্কার করতে সময় লাগছে।

 

তিনি বলেন, আমাদের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। পর্যাপ্ত জনবল থাকলে রাজউক সব কিছু করতে পারবে। অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

 

আবদুল মান্নান বলেন, যদি আবাসন কোম্পানিগুলো তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে তাহলে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। সততার সঙ্গে যদি তারা ব্যবসা পরিচালনা করে তাহলে সব কিছুই সঠিক ভাবে করা সম্ভব।

 

আর্থিক দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন দুই একটি ঘটনাকে পুঁজি করে পুরো কর্তৃপক্ষকে দায়ি করা ঠিক না। আমরা যথা সময়ে নকসা অনুমোদনের চেষ্টা করি, কিন্তু জনবলের অভাবে তা করে উঠতে পারছি ন। এব্যাপারে সরকারকে আরো আন্তরিক হতে হবে। আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে হবে।

 

রাজউক-সিটি করপোরেশনের সমন্বয়হীনতা

 

রাজধানীর উন্নয়ন, সেবাদান ও দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে প্রায় ৫৪টি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তবে এগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় পরিকল্পিত ও বসবাস যোগ্য নগরীতে রূপ দেয়া যাচ্ছে না ঢাকাকে।

 

তবে প্রায় একই ধরণের কার্যক্রম পরিচালনাকারী দুটি প্রতিষ্ঠান রাজউক ও ঢাকা সিটি করপোরেশন (উত্তর ও দক্ষিণ)। এই দুটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে অপ্রকাশিত প্রতিদ্বন্দ্বিতে পরিণত হয়েছে সংস্থা দুটি। একটি পরিচালিত হচ্ছে সরাসরি নিজস্ব আইনে আর অপরটি নির্বাহী বিভাগের অধিনে।

 

সিটি করপোরেশন নগরের প্রধান অভিভাবক হলেও অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের (স্বায়ত্বশাসিত) জন্য করতে পারছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। আইনে থাকলে পৃথক প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কেবল কাগজেই রয়েছে।

 

এব্যাপারে সিটি করপোরেশনের (উত্তর) নগর পরিকল্পনাবিদ গুলবাহার আহমেদ লেখনীকে বলেন, প্রচলিত সিটিকরপোরেশন আইনে যাবতীয় ইমরাত নির্মাণের অনুমোদন দেয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের থাকলেও সে দায়িত্ব দীর্ঘ দিন ধরে পালন করে আসছে রাজউক। তাই সিটি করপোরেশনের এই দায়িত্ব এখন শুধু কেতাবে আছে গোয়ালে নাই।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের অনুমোদন যদি রাজউকই দেয় তাহলে কেন ঝূঁকিপূর্ণ ভবন সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ করতে যাবে। আর কেনই বা ভবন নির্মাণ তদারকি সিটি করপোরেশন করতে যাবে।

 

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটা জনপ্রতিনিধিত্বকারী একটি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা। রাজধানীর অন্য সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সিটি করপোরেশনের অধিনেই কাজ করার কথা। কিন্তু তা না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধিনে কাজ করছে এসব প্রতিষ্ঠান। ফলে আইনে থাকলেও অনেক কাজ করতে বা বাঁধা দিতে পারছে না সিটি করপোরেশন।

 

অন্যদিকে ঝূঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত ও উচ্ছেদের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের দাবি করেছে রাজউক। এধরণের দায়িত্ব রাজউকের নয় বলেও বলছেন কর্তৃপক্ষটি।

 

এব্যাপারে রাজউক কর্মকর্তা প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বলেন, যে কোন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। আইনের মাধ্যমেই তাদের এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারপরও রাজউক স্ব-উদ্যোগী হয়ে অনুমোদনহীন ভবন উচ্ছেদ ও সনাক্তের কাজ করছে।

 

সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার জন্য সরকারকে দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে দুর্নীতি বাড়াতেই বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে স্বায়ত্বশাসিত করা হয়েছে।

 

এব্যাপারে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মধ্যে সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করবে সিটি করপোরেশন বা সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার। কিন্তু আমাদের দেশে পৃথক পৃথক প্রতিষ্ঠানকে স্বায়ত্বশাসিত করে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে সমন্বয়হীনতার জন্য পরিকল্পিত নগর হিসাবে ঢাকাকে গড়ে তোলা সম্ভবও হচ্ছে না।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.