কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী

জুন ৫, ২০১৩

2011-11-30-18-02-45-4ed66fc514359-untitled-7ঢাকা জার্নাল: প্যারোলে মুক্তির পর শপথ নিয়েছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার নবগঠিত তালোড়া পৌরসভার প্রথম মেয়র আবদুল জলিল খন্দকার। মঙ্গভার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাকে  শপথ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

বিএনপির সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়ার সম্পুরক পশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আ্দুল জলিলের শপথ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার এই আশ্বাসের পর আজ বুধবার তার শপথের ব্যবস্থা করা হয়।

মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য বুধবার সকালে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় বিএনপি নেতা আবদুল জলিলকে। বেলা ১১টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুই ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে বিশেষ পুলিশি পাহারায় তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে পৌঁছান।

বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালুদ্দীন আহমদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

শপথ গ্রহণ শেষে আব্দুল জলিলকে আবারও কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে জলিলকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বগুড়া কারাগার থেকে রাজশাহী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের করা ৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি জেলার আনোয়ার হোসেন।

প্রসঙ্গত, তালোড়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয় গত ৮ মে। ১১ এপ্রিল থেকে কারান্তরীণ থাকা বিএনপির প্রার্থী আবদুল জলিল (তালা প্রতীক) মোট ৪ হাজার ৫৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ জুন মেয়র হিসেবে আব্দুল জলিলের শপথগ্রহণের শেষ দিন। কিন্তু জেলে থাকায় তার শপথ নিয়ে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেন এ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত না থাকায় জমির উদ্দিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “তালোড়া পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বিএনপির প্রার্থী মেয়র পদে জয়লাভ করেছেন। তার (নির্বাচিত প্রার্থীর) যে শপথ অনুষ্ঠান হয়নি সেটা আমরা জানতাম না। জনগণের প্রতিনিধি হওয়ায় তার শপথের ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই করবো।”

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরদিনই প্যারোলে মুক্তির মাধ্যমে আব্দুল জলিলের শপথের ব্যবস্থা করা হলো।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ এপ্রিল তালোড়া ইউনিয়নকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। পৌরসভা ঘোষণার পর ওই বছরের মে মাস থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হান্নান পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বদলির পর উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা থাকায় যথাসময়ে তালোড়া পৌরসভার নির্বাচন হয়নি। পরে ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-২ শাখা সাতটি ওয়ার্ড বিভক্তকরণের গেজেট ঘোষণা করে।

ঢাকা জার্নাল,  জুন ০৫, ২০১৩

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.