‘আল্লাহর ইচ্ছায় মা বেঁচে যান’

আগস্ট ২১, ২০১৩

joysm20130821034101ঢাকা জার্নাল: একুশে আগস্টকে ইতিহাসের আরেকটি কালো দিন আখ্যা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

বুধবার মা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শুধু আল্লাহর ইচ্ছা থাকায় আমার মা ওই হামলা থেকে বেঁচে যান।’

পোস্টের শেষের দিকে জয় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে এমন সন্ত্রাসের ফিরে আসার বিন্দুমাত্র আশঙ্কাকে না বলতে অনুগ্রহ করে আমার সঙ্গে যোগ দিন।’

মোবাইল ফোন থেকে লেখা এই পোস্টে জয় লিখেছেন, ‘আমাদের জাতির ইতিহাসের আরেক কালো দিন আজ (২১ আগস্ট)। ২০০৪ সালের এই দিন আমার মায়ের ওপর মারাত্মক গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। হামলায় আমাদের দলের ২৩ জন মারা গিয়েছিলেন, আহত হন চারশ`র বেশি সদস্য। নিহতদের মধ্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানও ছিলেন। তার ছেলেমেয়ের সঙ্গেই আমি আর আমার বোন বড় হয়েছি।’

জয় গ্রেনেড হামলার খবরের ভিডিওটিও শেয়ার দিয়েছেন তার পোস্টে:

তিনি লিখেছেন, এই হামলার সবচেয়ে জঘন্য দিকটি হলো বিএনপি সরকার নিজে এর পরিকল্পনা করেছিল। এখানে দেখুন হামলায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তির ভিডিও। হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের অফিস। এই হামলার পরিকল্পনা কীভাবে করা হয়েছিল তা বিস্তারিত এই স্বীকারোক্তিতে বলেছেন হান্নান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ তারেক সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জয় লিখেছেন, এটা ছিল বিএনপি-জামায়াত আমলের সন্ত্রাসী হামলাগুলোর চরম মাত্রা। তাদের পাঁচ বছর ছিল এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় পূর্ণ। ২০০১ এর নির্বাচনের ঠিক পরপর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার জোয়ার বয়ে যায়। রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে বোমা হামলা, আমাদের আদালতগুলোতে বোমা হামলা অনেক হামলার মাঝে কয়েকটি মাত্র। শেষ পর্যন্ত সারা দেশে ৫০০ স্থানে একই সময়ে বোমা হামলাও হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এই হলো আমাদের বর্তমান বিরোধী দলের চরিত্র।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে জয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র জয়ের পেজটিতে ভক্তদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।

জয়ের জন্মদিনে মা শেখ হাসিনার মোরগ-পোলাও রান্নার ছবি পোস্টের পর থেকে এর জনপ্রিয়তা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বিভিন্ন বিষয়ে জয়ের ধারাবাহিক পোস্ট তার মতামত বলে অবগত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অন্যরা।

মঙ্গলবার রাতে এই পেজকে ‘বিশেষ সম্মান’ চিহ্নিত (মার্কড) করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তাই জয়ের পেইজে তার নামের ডান পাশে একটি রাইট মার্ক (টিক চিহ্ন) দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এখন আর কেউ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে কোনো ভুয়া (ফেইক) পেইজ খুলতে পারবে না।

ফেসবুকে এই সামাজিক যোগাযোগ রক্ষায় মনোযোগ ভবিষ্যতে জয়ের জন্য ইতিবাচক হবে বলে মনে করছেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার পেইজ অনুসারীর (লাইক) সংখ্যা ৯৩ হাজার ৭৬৬ জন।

মা শেখ হাসিনা ছেলে জয়ের কপালে চুমু খাচ্ছেন- এমন একটি ছবি পেইজের প্রচ্ছদে শোভা পাচ্ছে।

ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ২১, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.