আবারও ৩ দিনের হরতাল

নভেম্বর ৮, ২০১৩

hartal+23.04.13+(2)ঢাকা জার্নাল: নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দুই সপ্তাহে তিন দিন করে দু-দফা ছয় দিন হরতালের পর রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।

শুক্রবার বিকেলে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তৃতীয় দফা তিন দিনের হরতালের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, জনগণের ‘ভোটের অধিকার রক্ষার’ জন্যই এ কর্মসূচি। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ইতোমধ্যে আমরা দুই দফায় হরতাল করেছি। কিন্তু সরকার তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। সে কারণে বাধ্য হয়ে আমরা আবার কঠোর কর্মসূচি দিয়েছি।

ফখরুল বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এই হরতাল চলবে। সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার বিগ্রেডের গাড়ি এবং খাবার ও ওষুধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।

এর আগে গত ২৭ থেকে ২৯ অক্টোবর এবং ৪ থেকে ৬ নভেম্বর দুই দফায় ১২০ ঘণ্টা হরতাল করে বিরোধী দলীয় জোট, যাতে সারা দেশে ব্যাপক বোমাবাজি, ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়। সরকারি হিসেবে নিহত হন অন্তত ২০ জন।

বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে জোটের মহাসচিবদের বৈঠক শুরু হয়। আধা ঘণ্টা পর প্রেস ব্রিফিংয়ে হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।

মির্জা ফখরুল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সরকার সমঝোতা চায় না বলে ‘তথাকথিত সর্বদলীয় সরকার গঠনের নামে’ একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা জনগণের গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। সরকার মুখে সমঝোতার কথা বললেও সংলাপের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।

ফকরুল সরকারকে সমঝোতার পথে আসার আহবান জানান প্রেস ব্রিফিংয়ে।

জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হয়নি। এর নিবন্ধন বাতিল করেছে আদালত। এর বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করেছে তারা। এটি এখানে জবাব দেয়ার বিষয় নয়।”

জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী, মহাসচিবদের মধ্যে এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির আলমগীর মজুমদার, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামিক পার্টির আবদুর রশীদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির আবদুল মালেক চৌধুরী, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবদের মধ্যে জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, ন্যাপ ভাসানীর হাসরাত খান ভাসানী, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিদের মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব, ডিএল’র খোকন চন্দ্র দাশ ও বিজেপির সভাপতিমণ্ডলির সদস্য সালাহউদ্দিন মতিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পক্ষে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও শামীমুর রহমান শামীমও এ বৈঠকে উপস্তিত ছিলেন।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ৮, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.