আড়ি পাতায় স্বচ্ছতা আছে: বারাক ওবামা

জুন ১৯, ২০১৩

images (5)ঢাকা জার্নাল: দেশের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থেই ইন্টারনেটে আড়ি পাতা হয়। সে কাজে স্বচ্ছতাও আছে। আজ এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। নেটে নজরদারির কথা ফাঁস করেছেন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ-র প্রাক্তন কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। সমালোচনার মুখে পড়েছে ওবামা প্রশাসন। তা-ই এনএসএ-র সমর্থনে বার বার মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছেন ওবামা।

কাল স্নোডেনের দেওয়া নতুন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এক ব্রিটিশ দৈনিক জানিয়েছে, ২০০৯ সালে লন্ডনে দু’বার ‘জি-২০’ সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিদেশি প্রতিনিধিদের ওপর চরবৃত্তি চালিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন। তখন রাজনীতিক, কর্তাব্যক্তিদের কম্পিউটার, মোবাইল ফোনে আড়ি পাতেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। পুরোটাই হয়েছিল সরকারি নির্দেশেই। গোটা বিষয়টির দায়িত্বে ছিল ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ‘গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস হেডকোয়ার্টার্স’। মিলেছে তাদের এক গোপন নথি। তাতে লেখা, অসাধারণ এক উপায়ে প্রতিনিধিদের প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখা হয়েছে।

তখন ইচ্ছে করেই ব্রিটিশ গোয়েন্দারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন, যাতে বিদেশি প্রতিনিধিদের ইন্টারনেট ‘সার্ফ’ করতে ক্যাফেটেরিয়ায় যেতে হয়। আর সেখানেই পাতা ছিল ফাঁদ। তাঁদের সমস্ত তথ্য নিয়ে তার বিশ্লেষণ করতে ৪৫ জন ‘অ্যানালিস্ট’ও নিয়োগ করেছিল সরকার। শুধু ব্রিটিশ সরকারের এই কীর্তির কথাই ফাঁস করে থেমে থাকেননি এডওয়ার্ড স্নোডেন। তাঁর আরও দাবি, সারা বিশ্বের ওপর চলছে মার্কিন নজরদারি। ওই সময় ব্রিটেনের পাশাপাশি আমেরিকার এনএসএ-ও এই আড়ি পাতার কাজে সক্রিয় ছিল।

ইন্টারনেট সংস্থা ‘ইয়াহু’-র প্রধান মারিসা মায়ের বলেছেন, “গত ৬ মাসে আমাদের কাছে সুরক্ষার কথা জানার জন্য প্রায় ১৩ হাজার অনুরোধ চিঠি এসেছে। আমি জানাতে চাই আমাদের ওয়েবসাইটে ইয়াহু ব্যবহারকারীদের জন্য কাল থেকেই নতুন করে ‘প্রাইভেসি’-র কথা সংযোজন করা হয়েছে।” একই রকম ভাবে ফেসবুক, মাইক্রোসফট্ ও অ্যাপ্লের মতো সংস্থাগুলিও তাদের পরিষেবা ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে চিন্তা ভাবনা শুরু করছে।

সূত্র আনন্দ বাজার, জুন ১৯, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.