অভিনেত্রী নিপুণ নির্যাতনের দৃশ্যে
অভিনেত্রী নিপুণকে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতন করা হয়েছে। একটি বস্তিতে নিয়ে তাকে রাখা হয়। তারপর দিনের পর দিন সেখানে তিনি নির্যাতনে শিকার হন। অনেকদিন পর তাকে মুক্ত করা হয়।
না, নিপুণ সত্যিকারভাবে নির্যাতিত হননি। স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি ছবিতে অভিনয় করার দৃশ্যে তিনি গ্রামের এক অশিক্ষিত মহিলার দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। ছবিটিতে তিনি খোলামেলা পোশাকে অভিনয় করেছেন। ছবিটিতে তিনি প্রায় কেবল পুরনো ছেঁড়া ধরণের শাড়ী পরে অভিনয় করেছেন। গায়ের উপরের অংশে ব্লাউজ পর্যন্ত পড়তে দেখা যায় না।
লেখক সাংবাদিক আনিসুল হকের গল্প `৭১-এর সাহসিনী` অবলম্বনে সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে ৭১’র মা জননী’। সিনেমার শুটিং শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৬ অগাস্ট শুক্রবার। উপন্যাস থেকে শাহ আলম কিরণের সিনেমা ‘৭১’র মা জননী’র নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন নিপুণ।
এরই মধ্যে ২০১৩ সালের সরকারি অনুদান পাওয়া নির্মাণাধীন সিনেমাটির আশি ভাগ শুটিং শেষ করেছেন নির্মাতা কিরণ।বর্তমানে এর সম্পাদনার কাজ চলছে।সিনেমাটির প্রচারণাও শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ‘৭১’র মা জননী’ শিরোনামের একটি ফ্যান পেজ খোলা হয়েছে। যেখানে ছবিটির বেশকিছু ফটোগ্রাফ পোস্ট করা হয়েছে।
এতদিন যারা নায়িকা নিপুণকে দেখে এসেছেন, তারা এবারে ভিন্ন এক নিপুণকে দেখতে পাবেন।এই নিপুণ একাত্তরের মা জননী। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধাও বটে। যে কিনা নিজের স্বামী-সন্তান, এমনকি নিজের সমভ্রম হারিয়েও পাকহানাদারদের সঙ্গে লড়াই করেন অসীম সাহসিকতায়।
গ্রামের এক কুল বধূ হয়েও অস্ত্র হাতে শত্রুদের মুখোমুখী হয়। সম্মুখ সমরে অসংখ্য নিরস্ত্র, অসহায় মানুষের নির্যাতনকারীদের রুখে দেন। ‘৭১’র মা জননী` ছবিতে নিপুণ ও আগুন ছাড়াও অভিনয় করছেন চিত্রলেখা গুহ, ম. ম. মোর্শেদ, গুলশান আরা, মিশু, রাকিব, আবদুল হালিম আজিজ, স্বরণ, মোরশেদ আলম, লিখন, মাহবুব, এলিনা পারভেজ, রিমা, ঈষিতা পায়েল, সোমা ফেরদৌস, মিমা জামান তিথি, পৃথু, সারোয়ার আলম সৈকত, জুয়েল, এবং সাজু মেহেদী, সুমাইয়া, মনিকা, সোহানসহ কয়েকজন শিশুশিল্পী।