নারীর ক্ষমতায়ন না হলে দেশ তালেবান রাষ্ট্র হবে : চুমকি
আগস্ট ১৯, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: দেশে নারীর ক্ষমতায়নের যে ধারা শুরু হয়েছে, তা যদি ধরে রাখা না যায়, তাহলে দেশ আরেকটি তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
মহিলা বিষয়ক অধিদফতর কর্তৃক নিবন্ধিত মহিলা সমিতিগুলোর মধ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরের অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে রাজধানীর জাতীয় মহিলা সংস্থার হলরুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিকেল চারটায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্যই নারীর ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা ও সংসদের স্পিকারও নারী। নারীর ক্ষমতায়নে মডেল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার এই দেশের জন্য যা করেছে, তা আর কোনো সরকারই করেননি। এর একমাত্র কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’
তবে নারীর ক্ষমতায়ন বাধাগ্রস্ত করতে কিছু সমিতি ধর্মের অপব্যাখ্যা করে নারীদের চার দেওয়ালে বন্দি করতে চাইছে বলে জানান মেহের আফরোজ চুমকি।
তিনি বলেন, ‘এসব সমিতিকে চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত করে এসব সমিতির নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। নয়তো সমস্যার সমাধান হবে না।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিশেষ অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও সদস্য বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগম।
মহিলা বিষয়ক অধিদফতর অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অন্য বক্তারা বলেন, এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নারীর অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর সেখানে হেফাজতের অযৌক্তিক ১৩ দাবি বাস্তবায়ন কিছুতেই করতে দেওয়া হবে না।
এ ক্ষেত্রে সব ষড়যন্ত্রের ঊর্ধ্বে থেকে দেশের কল্যাণে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে দুই হাজার নয়শ ৫৭টি সমিতিকে পাঁচ কোটি ৯৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকার সাধারণ অনুদান, একশ ২৮টি সমিতিকে ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিশেষ অনুদান ও ২০০টি সমিতিকে ২০ লাখ টাকার স্বেচ্ছাধীন অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১৯, ২০১৩