সানি লিওন জ্বরে বাংলাদেশী তরুণীরা
আগস্ট ১, ২০১৩ ঢাকা জার্নাল: ইন্দো পর্ণো ষ্টার ও বলিউড নায়িকা সানি লিওন জ্বরে ভুগছে বাংলাদেশী তরুণীরা। ঈদ যেন তাদের এই জ্বর বাড়িয়ে দিয়েছে। সনির পরিহিত ‘জিসম-টু’ সিনেমার একটি পোষাকের প্রেমে পড়েছেন তারা।
সম্প্রতি ‘জিসম-টু’ নামে একটি ভারতীয় সিনামাতে অভিনয় করে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন সানি লিওন। সিনেমায় তার ব্যবহৃত পোষাকের নামে ‘সানি লিওন’ নামে একটি পোষাকের নামকরণ করা হয়েছে। ‘সানি লিওন’ পরিহিত ওই পোষাকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বাংলাদেশি কিশোরী ও তরুণীরা।
ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশের বিপণী বিতানগুলোতে ‘সানি লিওন’ নামে পোষাকের কাছ অন্যান্য ডিজাইনের পোষাকগুলো ম্লান হয়ে গেছে।
রাজধনীর বিভিন্ন শপিংমলে ঘুরে দেখা গেছে, টপস ও কামিজ সদৃশ একটি ‘সানি লিওন’ পোষাকের দাম কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৯৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। রোজার আগে ভারত থেকে আমদানীকৃত পোষাকটির আধিপত্য অন্য পোষাকের তুলনায় আকাশচুম্বী।
পোষাক বিক্রেতারা জানায়, এবারের ঈদে ‘সানি লিওন’ নামে পোষাকটি দেশের তরুণীরদের মাঝে বিশেষ আর্কষণ সৃষ্টি করছে। বিপণী বিতানগুলোতে গত সপ্তাহে পোষাকটি কেনার ব্যাপারে কিশোরী ও তরুনীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলের লামিসা ফ্যাশন নামে একটি দোকানের বিক্রেতা আখতার জানান, এবারের ঈদ বাজারে ভারতীয় পোষাকের সমারোহ বেশি। এর মধ্যে আশিকি-২, রানঝানা, বিপাশা-২, আক্সারা, এশা দেওল, কানপুরি ও আয়শা টাকিয়া অন্যতম। তবে অন্য পোষাকগুলোর চেয়ে ‘সানি লিওন’ পোষাকের চাহিদা অনেক বেশি। এই পোষাকে বিক্রি করে অনেক ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ওই শপিং মলের গার্লস কালেকশন নামে একটি দোকানের বিক্রেতা গোলাম মোস্তফা একই তথ্য দিয়েছেন।
মিরপুরের তরুণী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না ঈদের কেনাকাট করতে এসে জানান, প্রতিবারের ঈদেই ভারতীয় পোষাকের প্রতি টান অন্যরকম। কারণ ভারতীয় পোষাকে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। তিনি বলেন, এবারের ঈদে পোষাকে বৈচিত্র নিয়ে আসতে ‘সানি লিওন’ই আমার প্রথম পছন্দ। তবে পোষাকটির মধ্যে বৈচিত্র থাকলেও দামটা একটু বেশিই।
মেয়ে ঈশরাতকে নিয়ে নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মিসেস রোখসানা। মেয়ের আবদার ঈদে ‘সানি লিওন’ চাই। মেয়ের আবদার মেটাতে ‘সানি লিওন’ কিনেছেন ঈশরাতের মা। শীর্ষ নিউজ ডটকমকে তিনি বলেন, মেয়ের আবদার মেটাতে ‘সানি লিওন’ কিনেছি। পোষাকটিতে একটু বৈচিত্র আছে তবে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য পোষাকের চেয়ে দামটা কিন্তু বেশি।
তিনি আরো বলেন, ‘ঈদে ভারতীয় পোষাকের চাহিদা বেশি। বাংলাদেশি পোষাকে যদি কিছুটা বৈচিত্র আনা হয় তাহলে ভারতীয় পোষাকের আধিপত্য কমবে।
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ০১, ২০১৩